Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahalaya: ইংরাজিতে মহিষাসুরমর্দিনী, বিশ্বের দরবারে বাঙালির সেন্টিমেন্টকে তুলে ধরতে উদ্যোগ সুপ্রিয়র

Mahalaya: মহালয়ার দিন লাইভ করার আমন্ত্রণও পেয়েছেন সুপ্রিয়বাবু। পুজো কমিটিগুলিও তা চালাতে চেয়েছেন। তবে বিতর্কের ভয়ে আর বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি ঝুঁকি নিতে চাননি।

Mahalaya: ইংরাজিতে মহিষাসুরমর্দিনী, বিশ্বের দরবারে বাঙালির সেন্টিমেন্টকে তুলে ধরতে উদ্যোগ সুপ্রিয়র
ইংরেজিতেই মহিষাসুরমর্দিনীর আলেখ্য পাঠ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 9:13 PM

প্রীতম দে: ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির…’। মহালয়ার ভোরে রেডিয়োর ওপার থেকে ভেসে আসা এই শব্দবন্ধই যুগ যুগ ধরে বয়ে আনে আগমনীর আগমনবার্তা। বাণী কুমারের রচনা, পঙ্কজকুমার মল্লিকের সঙ্গীত আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কন্ঠে ১ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের মাতৃ আবাহন বাঙালির সনাতনী আবেগের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে সেই কোন কাল থেকে। বাঙালির এই আবেগকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এবার মহিষাসুরমর্দিনীর আলেখ্য অংশ ইংরেজিতে লিখলেন শিল্পী সুপ্রিয় সেনগুপ্ত।

সুপ্রিয় সেনগুপ্ত পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তবে গানবাজনার প্রতি তাঁর অমোঘ টান। শত ব্যস্ততার পরও সময় বের করে ঠিক চর্চা চলে। সুপ্রিয়বাবুর মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিল ছেলে মহালয়া করবেন ইংরেজিতে, বিশ্বের মানুষ চিনবেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকে। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণার আরও আগের ঘটনা। সেইমতো শুরু হয় আলেখ্য অনুবাদের কাজ। সুপ্রিয় সেনগুপ্ত পাশে পান তাঁর দুই সঙ্গীত পাগল ভাই, বোন সুবীর চন্দ্র ও সংযুক্তা চক্রবর্তীকে। তা রেকর্ডও করা হয়। ইউটিউবে সেই ভিডিয়ো দেখাও যায়।

মহালয়ার দিন লাইভ করার আমন্ত্রণও পেয়েছেন সুপ্রিয়বাবু। পুজো কমিটিগুলিও তা চালাতে চেয়েছেন। কিন্তু বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কালজয়ী এই কন্ঠের কাছে মহানায়ক উত্তর কুমারের কন্ঠও যে ম্লান মনে হয়েছিল বাঙালির। তাই বিতর্কের ভয়ে আর বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি ঝুঁকি নিতে চাননি।

তবে এবার এগিয়ে এসেছে কুঁদঘাট প্রগতিসংঘ। তাদের পুজোর থিমও এবার পুরনো দিনের গায়ক গায়িকা, সঙ্গীত জগতের গুণীজনদের নিয়ে। সদ্যপ্রয়াত লতা মঙ্গেশকর থেকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্র তো আছেনই, থিমের অংশ স্বয়ং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রও। সুপ্রিয়বাবুর এই ‘কনসেপ্ট’ লুফে নেন পুজো উদ্যোক্তারা।

পুজো কমিটির সম্পাদক পীযূষ সাহা বলেন, “সুপ্রিয়বাবু আমাদের থিমটাকে সম্পূর্ণ করলেন। সর্বজনীন পুজোকে বিশ্বজনীন করে তুললেন। সমগ্র অনুষ্ঠানের জন্য কোনওরকম পারিশ্রমিক নেননি উনি। দুর্গাপুজোর সঙ্গে সঙ্গে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনীও এবার এক কথায় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবেই গণ্য হবে।”

সুপ্রিয় সেনগুপ্ত এ বিষয়ে বলেন, “মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে গেলে দরকার ছিল কোনও পুজো কমিটির আমন্ত্রণ। এর আগে অন্তত তিনটি বারোয়ারি পুজো প্রথমে হ্যাঁ বলেও অজানা কারণে পিছিয়ে যায়। কিন্তু আমি কৃতজ্ঞ প্রগতি সংঘের কাছে। তারা শুধু আমাকেই সম্মান দিলেন না, আমার মাকে এবং বিশ্বজনীন মাকেও সম্মান দেখাল।”