Sisir Adhikari on Madan Mitra: তর্পণ করে শুভেন্দুর ছবিতে মালা মদনের, কী বলছেন শিশির অধিকারী?

Madan Mitra: মহালয়ায় তর্পণ সনাতনী রীতি। প্রয়াত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তিল, গঙ্গাজল উৎসর্গ করে তাদের আত্মার শান্তিকামনা করতেই প্রেতপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা এই আচার পালন করেন হিন্দুরা।

Sisir Adhikari on Madan Mitra: তর্পণ করে শুভেন্দুর ছবিতে মালা মদনের, কী বলছেন শিশির অধিকারী?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 10:09 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: মদন মিত্র তর্পণ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা দিয়েছেন। মালা দিয়ে বলেছেন, বিজেপির দুই নেতা বেঁচে থাকুক। তবে এই মালা-তর্পণ বিজেপির রাজনৈতিক অপমৃত্যুর জন্য। যা নিয়ে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলা যোগাযোগ করে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিশিরবাবু বলেন, ৮৪ বছর বয়সে এসে তাঁর এত খারাপ দিন আসেনি যে মদন মিত্র সম্পর্কে বলতে হবে।

মহালয়ায় তর্পণ সনাতনী রীতি। প্রয়াত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তিল, গঙ্গাজল উৎসর্গ করে তাদের আত্মার শান্তিকামনা করতেই প্রেতপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনার মাহেন্দ্রক্ষণে এই আচার পালন করেন হিন্দুরা। কিন্তু জলজ্যান্ত মানুষের তর্পণ করে রবিবার বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এদিন গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে মালা দেন মদন। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।

এ প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী বলেন, “আমি ‘৬৯ সালে পঞ্চায়েত জিতেছিলাম। আজ ৮৪ বছর বয়সে যদি মদনকে কাউন্টার করতে হয়, তা হলে তো…। এদের নিয়ে কথা বলা যায় না।” অন্যদিকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, “ওসব করছেন উনি মন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য। তবে মন্ত্রিত্ব উনি ফিরে পাবেন না, অবসরের সময় এসে গিয়েছে। এরপর ফেসবুক লাইভ করবেন আর সুইমিং পুলে সাঁতার কাটবেন নাতির সঙ্গে।”

রবিবার বাবুঘাটে তর্পণ করতে যান মদন মিত্র। সেখানেই গঙ্গার ধারে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের দু’টি ছবি রাখা ছিল। সেই ছবিতে মালা দেন মদন। এরপরই মদন মিত্রকে বলতে শোনা যায়, “তাঁরা বেঁচে থাকুন। সপরিবারে সুস্থ থাকুন। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিকভাবে যে অপমৃত্যু ঘটবে, তার তর্পণ করার জন্য লোক পাওয়া যাবে না। তাই আমি আগাম সেই তর্পণ করে গেলাম।”