TMC: তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা কি এবার ইডির স্ক্যানারেও?
TMC: ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চাকরি বিক্রিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই আর্থিক লেনদেন নিয়েই প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিল ইডি।
কলকাতা: গত সপ্তাহে সিবিআই হানা দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) বাড়িতে। নদিয়ার তেহট্টের বাড়িতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এবার সেই তাপস এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে সিবিআইয়ের কাছ থেকে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপসের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য নিয়েছে ইডি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চাকরি বিক্রিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে তাপস সাহার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। আর সেই আর্থিক লেনদেন নিয়েই প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিল ইডি। অন্যদিকে আরও একবার তাপস সাহাকে তলব করেছে সিবিআই। মঙ্গলবারই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে তাঁকে।
গত শুক্রবার তেহট্টের কড়ুইগাছিতে তাপস সাহার বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। পাশেই তাঁর দলীয় কার্যালয়। সেখানেও অভিযান চালায় তারা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর কলকাতায় ফেরে তারা। এরপরই তাপস-ঘনিষ্ঠ ইতি সরকারের বাড়িতেও যায় সিবিআই। যা জিজ্ঞাসাবাদ করার করেন। তাপসের এক সময়ের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদিও প্রবীরের দাবি তিনি তাপসের আপ্ত সহায়ক নন।
তবে তাপস সাহাকে যে তিনি চিনতেন সে কথা স্বীকার করেন প্রবীর কয়াল। বলেন, “এমএলএ হস্টেলের উল্টোদিকে একটি হোটেলে কাজ করতাম। সেখান থেকেই আমার তাপস সাহার সঙ্গে পরিচয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে আমি উনাকে চিনি। আমি উনার পিএ নই। আমি কোনও প্রভাবশালী বা বিভিন্ন দফতরে আমি কোনও দিন যায়নি।” যদিও সিবিআই-এর এফআইআরে তাপস সাহার পরেই নাম রয়েছে তাঁর।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর সিবিআই তাপস সাহার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায়। এবার ইডি তথ্য অনুসন্ধানের কাজ শুরু করল। ইডি সূত্রে খবর, তাপস সাহার বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চায় তারা। সিবিআইয়ের এফআইআরের সূত্র ধরে তাপসের বিরুদ্ধে ইডি মামলাও দায়ের করতে পারে বলেই সূত্রের খবর।