One Person One Post: অভিষেকের পাশে চন্দ্রিমাও? আইপ্যাকের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে অবস্থান খোলসা করলেন মন্ত্রী
Chandrima Bhattacharya: এক ব্যক্তি, এক পদ। এই ঘিরেই এখন তোলপাড় হচ্ছে বাংলার রাজনীতি। সৌজন্য়ে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার তাতে নতুন করে সংযোজন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর ফেসবুক এবং টুইটারে হ্যান্ডেলের কভারে বড় বড় করে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতির প্রতি তাঁর সমর্থনের বার্তা।
কলকাতা : এক ব্যক্তি, এক পদ (One Person One Post)। এই ঘিরেই এখন তোলপাড় হচ্ছে বাংলার রাজনীতি। সৌজন্য়ে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। আর এবার তাতে নতুন করে সংযোজন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তাঁর ফেসবুক এবং টুইটারে হ্যান্ডেলের কভারে বড় বড় করে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতির প্রতি তাঁর সমর্থনের বার্তা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি এবার অভিষেকের পাশে চন্দ্রিমাও? আর এই জল্পনার মধ্যেই তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির সমর্থনে তাঁর সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে যে ছবিগুলি পোস্ট হয়েছে সেগুলিতে তাঁর অনুমোদন নেই। তাঁর সোশ্যাল হ্য়ান্ডেল কন্ট্রোল করে আইপ্যাক। তাই এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। এদিকে এই এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ঘিরেই এবার তৃণমূলের অন্দরে আড়াআড়ি বিভাজন অনেকটাই স্পষ্ট। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একেবারে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মধ্যেই মতানৈক্যের একটি ইঙ্গিত মিলছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মূলত দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা। সেই ভাবনার সঙ্গে দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনেক ক্ষেত্রেই ফারাক দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়, যখন অভিষেকের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করেন। শুধু আকাশই নন, এরপর অভিষেকের পিসির মেয়ে অদিতি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক ব্যক্তি এক পদ নীতির পক্ষ নিতে দেখা যায়। এর পাশপাশি, তৃণমূলের একাধিক যুব নেতাকেও এই ধরনের পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের স্যোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে এই পোস্ট, এবং তারপর আইপ্যাকের উপর চন্দ্রিমার দায় চাপানোকে ঘিরে নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে TV9 বাংলাকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “আমি অবাক হয়ে গিয়েছি, স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি, যে এভাবে কেউ করতে পারে। এটি একটি ক্রিমিনাল অফেন্সের মতো প্রায় বলতে গেলে। কারণ, আমি বিষয়টি জানিই না। আমাকে না জানিয়েই কেউ আমার সিদ্ধান্তের কথা পোস্ট করে দিয়েছে, আমার টুইটার হ্যান্ডেলে সব চেঞ্জ করে দিয়েছে – এটা তো আইপ্যাকের অফিস থেকে করেছে। তাছাড়া তো কেউ করতে পারবে না।”
তাহলে কি মন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল আইপ্যাক থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়? এই বিষয়ে তিনি বলেন, “এগুলো আমি করিনি তো। এগুলি আইপ্যাকের নির্দেশে কেউ করেছে।” এখন অবশ্য চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সোশ্যাল হ্যান্ডেলের কভার থেকে সেই ছবি দেখা যাচ্ছে না। সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এখন দেখা যাচ্ছে না, কারণ এখন হয়ত তাঁরা ডিলিট করেছে।” তাঁর বক্তব্য, গোটা বিষয়টি তাঁকে না জানিয়ে করা হয়েছে এবং তাঁর সিদ্ধান্ত তিনি নিজে নেবেন। তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি না আমার কোনও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কোনও ব্যাপারে থাকতে পারে। দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। নেত্রীর কথাই শেষ কথা। এটা সবাই জানে। যাঁরা এই কাজ করেছে, তাঁরা হয়ত আমাকে ঠিক চেনে না। তাই তাঁরা এই কাজ করেছে।”
তবে বিষয়টি নিয়ে আইপ্যাকের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা