TMC Candidate List: প্রার্থী তালিকা নিয়ে কেন বিভ্রান্তি? পিকের সঙ্গে ‘উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে’ পার্থ, দাবি সূত্রের

Municipal Election: শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস। তাঁরা জানান, ১০৭টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।

TMC Candidate List: প্রার্থী তালিকা নিয়ে কেন বিভ্রান্তি? পিকের সঙ্গে 'উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে' পার্থ, দাবি সূত্রের
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2022 | 12:31 PM

কলকাতা: তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল শুক্রবার বিকেলে। তবে কোথায় কে প্রার্থী হচ্ছেন সেই নামের চূড়ান্ত তালিকা তখনও প্রকাশ্যে আসেনি। এরইমধ্যে তৃণমূলের ওয়েবসাইটে একটি তালিকা দেখা যায়। ১০৭টি পুরসভার (Municipal Election) বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থীর নামের সেই তালিকা। যদিও তাতে তৃণমূলের কারও সই বা লোগো ছিল না। এই তালিকা সামনে আসতেই শুরু হয় চরম বিভ্রান্তি। নাম না দেখতে পেয়ে জেলায় জেলায় পথে নামেন তৃণমূলের কর্মীরা। তুমুল অস্বস্তি বা বিড়ম্বনা বাড়ে শাসকদলের অন্দরে। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, আবারও বৈঠকে বসতে হয় সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের। সেখান থেকেই পরে জানা যায় যে, এই তালিকা ‘ভুয়ো’। পরে দ্বিতীয় দফায় ফের জেলায় জেলায় রাতেই তালিকা পাঠানো হয় বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর। সেই তালিকায় সই রয়েছে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর। কিন্তু কে বা কারা তৃণমূলের ওয়েবসাইটে তালিকাটি আপলোড করে দিল, তা নিয়েই চরম হইচই শুরু হয় দলের অন্দরে বলে সূত্রের দাবি। এমনকী এ নিয়ে আইপ্যাকের প্রধান প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একপ্রস্থ কথা কাটাকাটিও হয় বলেই দাবি করেছে সূত্র।

শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস। তাঁরা জানান, ১০৭টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। এরপর সাড়ে ৫টা-পৌনে ৬টা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেসের যে সমস্ত সোশাল প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেখানে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১০৭টি পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডের প্রার্থীর নামও ছিল তাতে।

এই তালিকা নিয়েই জেলায় জেলায় যেমন ক্ষোভের ছবি দেখা যায় শুক্রবার রাতেই। সূত্রের খবর, একইভাবে বিধায়ক, সাংসদ, জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকেও ফোন আসতে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। কারণ, রাজনৈতিক কাজ করার জন্য যে আর্জি জেলা থেকে উঠেছিল, সেগুলির প্রতিফলন প্রথম তালিকায় দেখা যায়নি। যেমন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘দাদার অনুগামী’ এমন একাধিক নাম তালিকায় রয়েছে। এমনকী তাঁরা এখন ‘দাদা’র সঙ্গেই বিজেপি করেন। এই নামগুলি মানতে নারাজ জেলার তৃণমূল কর্মীরা। এরপরই তিনি জেলার নির্বাচনী কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও বলেন। পরিস্থিতি যে মোটেই অনুকূল নয়, তা বুঝে ফের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। ভবানীপুরে সুব্রত বক্সীর কার্যালয়ে এই বৈঠকে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে। এরপরই রাত সাড়ে ৮টা পৌনে ৯টা নাগাদ জানানো হয় যে, জেলায় সংশোধিত তালিকা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু প্রথম তালিকাটি কারা সামনে নিয়ে এল তা নিয়েই জোর গোলমাল বাধে বলে দাবি সূত্রের। সূত্রের তরফে এমন দাবিও করা হয়েছে, শুক্রবার থেকে যা চলছে তাতে অত্যন্ত বিরক্ত স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা