Adhir Chowdhury: মুর্শিদাবাদ নাম বাদ দেওয়া যাবে না, নতুন জেলা ঘোষণা হতেই গর্জে উঠলেন অধীর
Adhir Chowdhury: নতুন সাত জেলার ঘোষণা হতেই বিরোধীরা একযোগে শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেছে। তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
কলকাতা: সোমবারই রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সাতটি নতুন জেলা হবে বাংলায়। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা ভেঙে হবে নতুন দুই জেলা বসিরহাট এবং বনগাঁ-বাগদা নিয়ে ইছামতী। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে আলাদা হচ্ছে সুন্দরবন। মুর্শিদাবাদ থেকে আলাদা হচ্ছে দুই জেলা বহরমপুর ও কান্দি। বাঁকুড়া ভেঙে বিষ্ণুপুর এবং নদিয়া ভেঙে রানাঘাট। নতুন সাত জেলার ঘোষণা হতেই বিরোধীরা একযোগে শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেছে। তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর হুঁশিয়ারি, “মুর্শিদাবাদ জেলা ভাঙতে পারেন, কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলার নামটা, তার অস্তিত্বকে কেউ মুছে দিতে পারেন না। এ মুর্শিদাবাদ তথা বাংলার মানুষ কোনওদিন মেনে নেবে না, এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতদূর যেতে হয় আমরা যাব।”
মুর্শিদাবাদ ভেঙে আরও দুই জেলার নাম ঘোষণা হতেই অধীর চৌধুরী এক ভিডিয়ো বার্তায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মুর্শিদাবাদ শুধু একটা জেলার নাম নয়। পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক ভূখণ্ডের নাম। এই মুর্শিদাবাদ জেলা এক সময় ছিল বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজধানী। এই মুর্শিদাবাদ জেলাকে দেখে লর্ড ক্লাইভ বলেছিলেন, ‘লন্ডনের থেকেও মুর্শিদাবাদ জেলায় অনেক বেশি ধনী মানুষের বসবাস’। জেলার নাম পরিবর্তন হবে কেন? উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর হয়েছে। তা হলে মুর্শিদাবাদ কেন হতে পারে না? মুর্শিদাবাদ থাকল, সঙ্গে পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ যা খুশি রাখুন। কিন্তু মুর্শিদাবাদ নামটা সরিয়ে দিলে প্রতিবাদ হবেই।”
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এটা করা হল, কারণ আইপিএস, আইএসদের যাতে ছাড়তে না হয়। খুব কৌশলগত ভাবে এটা করা হয়েছে। যাতে তাবেদারদের দিল্লি নিতে না পারে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, “পুলিশ জেলা তিনটে, স্বাস্থ্য জেলা ২টো, এখন আবার জেলার নাম বলছেন আরেকরকম। মানে জেলা একরকম, পুলিশ জেলা একরকম, স্বাস্থ্য জেলা একরকম। এত সমস্ত তালগোল করে দিলে লুটেপুটে খেতে সুবিধা হয়। “