Mamata-Nitish Meet: এক ছাদের তলায় মমতা-নীতীশ-তেজস্বী, বিরোধীদের তোপ, ‘অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’

Mamata-Nitish Meeting: এদিন নীতীশ কুমার বলেন, "আমাদের যে কথা হয়েছে, তা হল আমাদের সকলকে আরও বেশি বেশি করে, সবদলকে এক হয়ে আগামী লোকসভার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সকলে একসঙ্গে বসে কথাবার্তা বলুক। কীভাবে পরবর্তী পথ এগোনো যায়, তা ঠিক হোক।"

Mamata-Nitish Meet: এক ছাদের তলায় মমতা-নীতীশ-তেজস্বী, বিরোধীদের তোপ, 'অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই'
নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতীশ কুমার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2023 | 8:06 PM

কলকাতা: আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এককাট্টা হতে মরিয়া বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। সেই জোটের প্রাককথনের লক্ষ্যেই সোমবার নবান্নে এসেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। তাঁদের গলায় একই সুর, ২৪-এ বিজেপিকে হঠাতে একত্রিত হয়ে লড়বেন তাঁরা। যদিও বিজেপি এই বৈঠককে তাচ্ছিল্যর সুরেই দেখছে। তাদের কথায়, এই জোটের চেষ্টা কার্যত সোনার পাথর বাটির মতো

এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে জোটের পক্ষেই সওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমাররা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নীতীশজী সকলের সঙ্গে কথা বলবেন। হাম সকলে একসঙ্গে মিলে চলব। নীতীশজী সকলের সঙ্গে কথা বলবেন। হামভি বাত কর রহা হ্যয়। এক সাথ মিলকে হাম চলেঙ্গে। আমার পার্সোনাল ইগোর কোনও বিষয় নেই। আমরা কালেক্টিভলি সাথ মে কাম করনে চাহতে হ্যয়। এটাই বার্তা।”

নীতীশ কুমারের কথায়, দেশের জন্য, দেশের উন্নয়নে বিজেপি কোনও কাজই করেনি। আত্মপ্রচারই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই সকলে একসঙ্গে এই বিজেপিকে হঠানোর ডাক দেন তিনি। নীতীশ কুমার বলেন, “আমাদের দেশের যে পুরনো ইতিহাস, স্বাধীনতার লড়াই, সবকিছু সব প্রজন্মের জন্য থাকা উচিত। অথচ এরা ইতিহাস বদলে দেবে, কী করবে কে জানে। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”

মমতার কথায়, বিজেপি মিথ্যার রাজনীতি করে, গুন্ডাগিরি করে। ভুয়ো প্রচারে মানুষকে বিভ্রান্ত করে গেরুয়া শিবির। মমতা বলেন, ” আমি চাই বিজেপি জিরো হয়ে যাক। হাম চাহতে হ্যয় বিজেপি জিরো বন জায়ে, বহত বড়া হিরো বন গয়া কোয়ি কুছ নেহি করকে। খালি ঝুটা বাদ কহেকে। ফেক ভিডিয়ো বানাকে অউর ফেক বাত করকে। গুন্ডাগিরি করকে। অ্যায়সা নেহি চল সকতা হ্যয়।”

যদিও এই বৈঠকের কোনও দিশাই নেই, একযোগে খোঁচা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। দিলীপের বক্তব্য, সারাদেশ মোদীর জয়ধ্বনি করছে। তাই বিরোধী দলগুলি ভোটে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে। দিলীপের কটাক্ষ, প্রতিবারই ভোটের আগে এই জোটের ধুয়ো তোলা হয়। লাভের লাভ কিছুই হয় না।

একইসঙ্গে নীতীশ কুমারকে খোঁচা দিলীপের, “নীতীশ কুমারের প্রত্যেক ভোটে আসন কমছে, অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য উনি লাফাচ্ছেন। শেষ বয়সে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নও দেখছেন। বিহার থেকে বেরোতে পারলেন না। সরকার কতদিন টিকবে ঠিক নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী হতে তো আর খরচ নেই। যত ভোট এগিয়ে আসবে এসব বাড়বে। এর কোনও বাস্তবিক ভিত্তি নেই।”

অন্যদিকে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার বিরোধী জোট তৈরির সম্ভাবনাই দেখছেন না। তিনি বলেন, “বিরোধী নেতারা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রায় ডুবে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার, স্ট্যালিন, এরা কেউই কাউকে সকলে মিলে মানবে, অসম্ভব ব্যাপার। মুখবিহীন বিরোধী মঞ্চ তখনই হয় যখন আদর্শ থাকে। এদের না আদর্শ আছে, না আছে মুখ। এই বিরোধী মঞ্চ একটা ভাঙা মঞ্চ। মানুষের কাছে পৌঁছনোর কোনও সম্ভাবনাই নেই।”

এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র বলেন, বিরোধী দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে চাইছে ভাল কথা। তবে আগামী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই আলোচনার প্রভাব খুব একটা পড়বে বলে মনে হয় না। এই বৈঠকের কারণে বাংলায় তৃণমূলের আসন বাড়বে না। কিংবা বিহারে নীতীশের দলের আসন বাড়বে না।