Primary Recruitment: দ্রুত নিয়োগ চাই, ২০০৯’র চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভে বাড়ছে ঝাঁঝ

TET: ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। তখন টেট পরীক্ষা হতো না। প্রশিক্ষণও বাধ্যতামূলক ছিল না।

Primary Recruitment: দ্রুত নিয়োগ চাই, ২০০৯'র চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভে বাড়ছে ঝাঁঝ
চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2022 | 10:35 PM

কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ (Calcutta High Court) মেনে প্যানেল প্রকাশের দাবি। সেই দাবিতে বিক্ষোভে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাইমারি পরীক্ষার্থীরা। বালিগঞ্জে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের (DPSC) বাইরে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

চাকরিপ্রার্থী অরিন্দম মণ্ডলের কথায়, “কর্তৃপক্ষ এখানে এসে বলুক আমরা অমুক দিন প্যানেল প্রকাশ করব। সেটা নির্দিষ্ট করুক। ওনারা আগে বলেছিলেন নির্দেশ আসার ১ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকা দিয়ে দেবেন। এদিকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে দু’দিন হয়ে গেল। এরপরও ওনারা কোনও কথা বলছেন না কেন? আসছেন না কেন? দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষা আমাদের। আর কতদিন অপেক্ষা করব আমরা।”

আন্দোলনকারীরা জানান, নির্দেশিকা বেরোনোর আগে যতবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে এসেছিলেন, ততবারই বলা হয়েছে নির্দেশ বেরোনোর অপেক্ষা। এখন আদালতের কাছ থেকে নির্দেশ নিয়ে আসার পর কেউ দেখাই করছেন না। অরিন্দমের কথায়, “যা সরকারের করার কথা ছিল, তাও তো আমরাই করলাম। আদালত থেকে অর্ডারটাও নিয়ে এলাম। এখনও কেন সহযোগিতা করছে না বুঝতে পারছি না।”

২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরের বছর জেলা ভিত্তিক পরীক্ষাও হয়। সে সময় টেট ছিল না। সেই সময় প্রাথমিকে চাকরির জন্য প্রশিক্ষণও অত্যাবশ্যক ছিল না। এদিকে বাম সরকারকে সরিয়ে তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর চালু হয় টেট। অভিযোগ, সে সময় ২০০৯ সালের পরীক্ষা বাতিল করে দেয় রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি হয় ইন্টারভিউ।

যদিও এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগ বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় কোর্ট। মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, ২০০৯ সালের নিয়োগের যে নিয়ম অর্থাৎ মাধ্যমিক পাশ করলেই প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার যে নিয়ম ছিল তা মেনে ১ হাজার ৮০০র বেশি আসনে দু’ সপ্তাহের মধ্যে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীরা জানান, আদালতের নির্দেশের পরও দিনের পর দিন নিয়োগের অপেক্ষায় বসে থাকতে নারাজ তাঁরা।