Rare Group Blood: TV9 বাংলার খবরের জের, বিরল বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত পেলেন দুর্গানগরের মহিলা

OH+: বিরল বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত সচরাচর পাওয়া যায় না। সেই রক্তই সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে অপচয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

Rare Group Blood: TV9 বাংলার খবরের জের, বিরল বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত পেলেন দুর্গানগরের মহিলা
বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত পেলেন দুর্গানগরের মহিলা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 8:39 AM

কলকাতা: টিভি নাইন বাংলার খবরের জের। মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে পড়ে থাকা বম্বে ব্লাড গ্রুপের এক ইউনিট রক্ত নষ্ট হ‌ওয়ার আগে তা এক রোগীকে দেওয়ার ব্যবস্থা করল স্বাস্থ্যভবন। দুর্গানগরের (Durganagar) বাসিন্দা সন্ধ্যা সিংহ (৬৩) কিডনির অসুখে আক্রান্ত। রোগীর হিমোগ্লোবিন কম থাকায় ডায়ালিসিসিসের সময় রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এদিকে সন্ধ্যাদেবীর ব্লাড গ্রুপ ওএইচ পজিটিভ (Oh+)। এই বিরল গ্রুপের রক্ত পাওয়া কার্যত দুরূহ। সে কারণেই তাঁর ছেলে স্বাস্থ্যভবনে যোগাযোগ করেন। এরপর‌ই মানিকতলা সেন্ট্রাল‌ ব্লাড ব্যাঙ্কে থাকা রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় সন্ধ্যাদেবীকে। এর আগে মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে বিরল গ্রুপের রক্ত থাকা সত্ত্বেও এন‌আর‌এসে আরেকজন দাতাকে এনে তা আগ্রা পাঠানোর ব্যবস্থা হয়।

বিরল বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত সচরাচর পাওয়া যায় না। সেই রক্তই সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে অপচয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, সমন্বয়ে ঘাটতি নাকি স্রেফ গাফিলতি এর জন্য দায়ী? মুমূর্ষু রোগীর Oh+ বা বিরল বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন শুনলেই নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয় ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের। সারা দেশে খুব বেশি হলে ১০০ জন এই ব্লাড গ্রুপের অধিকারী। এমন বিরল গ্রুপের রক্ত যাতে অহেতুক শরীর থেকে বের না হয় তাকর জন্য সবসময়ই নজর রাখে রাজ্যের রক্ত সঞ্চালন পর্ষদ।

এরইমধ্যে গত ১২ নভেম্বর এক দাতার কাছ থেকে বম্বে ব্লাড গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করে মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক। ১৭ নভেম্বর আগ্রার এক তরুণীর এই গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ওই তরুণীকে ১২ তারিখ সংগ্রহ করা রক্ত না দিয়ে আরও একজন বম্বে গ্রুপের রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নিয়ে তা আগ্রায় পাঠানো হয়। এদিকে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে পড়ে থাকা বম্বে ব্লাড গ্রুপের মেয়াদ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে বিরল গ্রুপের রক্ত কাজে না লাগলে তা নষ্ট হয়ে যেত। দুর্গানগরের সন্ধ্যাদেবী পেলেন সেই রক্তই।