SLST: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য শুনল এসএসসি, ববিতার পথেই কি মিলবে চাকরি?
SLST: ২০১৬ সালে এসএলএসটিতে (একাদশ-দ্বাদশ) বসেন প্রিয়াঙ্কা সাউ। ২০১৭ সালে মহিলা ক্যাটাগরিতে ইন্টারভিউ দিলেও চাকরি পাননি।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এসএলএসটি চাকরি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা সাউ। তাঁর অভিযোগ, তিনি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি থেকে বঞ্চিত। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নির্দেশ দেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে শুক্রবার বিকেলেই বৈঠকে বসতে হবে প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে। আগামী বুধবার জমা দিতে হবে বৈঠকসংক্রান্ত রিপোর্ট। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার শুনানি হবে। সেইমতো এদিন এসএসসি ভবনে বৈঠক হয়। মিনিট ৪৫-এর এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁদের কথা হল। প্রিয়াঙ্কার কথায়, “আমার যে গ্রিভান্সটা ছিল, যে সমস্ত কারণে আমি বঞ্চিত বলে মনে করছি, সেগুলো চেয়ারম্যান স্যরকে জানালাম। উনি বললেন, বিষয়টি দেখছেন। দেখার পর বুধবার কোর্টে জানানোর কথা। সেটা ওনারা ওনাদের মতো করে রিপোর্ট দেবেন। বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি হবে।”
২০১৬ সালে এসএলএসটিতে (একাদশ-দ্বাদশ) বসেন প্রিয়াঙ্কা সাউ। ২০১৭ সালে মহিলা ক্যাটাগরিতে ইন্টারভিউ দিলেও চাকরি পাননি। অথচ মেল-ফিমেল ক্যাটাগরিতে তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীও চাকরি পেয়ে যান। তিন বছর ধরে এই ‘বঞ্চনা’ তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে বলে জানান প্রিয়াঙ্কা। এরইমধ্যে গত কয়েকদিনে নিয়োগসংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্টের পদক্ষেপ তাঁকে শক্তি জোগায়। এগিয়ে আসেন তিনিও।
এদিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমি ২০১৬ সালে এসএলএসটি একাদশ দ্বাদশের জন্য পরীক্ষা দিই। ইংরাজি বিষয়ের জন্য শিক্ষক পদপ্রার্থী। আমার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮.৫০। প্রতিটা বিষয়ের জন্য দু’টো ক্যাটাগরি থাকে মেল-ফিমেল এবং ফিমেল। আমার নাম শুধু ফিমেল ক্যাটাগরিতেই ছিল। মেল-ফিমেলে ছিল না। কিন্তু সেখানে যাদের নাম আছে, তাদের অনেকেরই নম্বর আমার থেকে কম। চার নম্বর অবধি মেল-ফিমেল থেকে কাউন্সেলিং হয়েছে। চাকরি দেওয়া হয়েছে। চার নম্বরের যে ছেলেটি তার নম্বর আমার থেকে কম। তবু সে চাকরিটা পেয়েছে। এদিকে আমার নাম মেল-ফিমেলে না থাকায় কাউন্সেলিংয়ে ডাক পর্যন্ত পাইনি। এটাই আমার অভিযোগ।”
প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, একটা ক্যাটাগরির জন্য এই বঞ্চনা তাঁর প্রাপ্য নয়। এর দ্রুত সমাধান চান তিনি। এরপরই বৃহস্পতিবার আদালতে তাঁর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত একটি মামলা দায়ের করেন। সেইমতো শুক্রবার ছিল শুনানি। এদিনই আদালত জানায়, কমিশনের চেয়ারম্যানকে সবটা অবগত করতে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “২০১৬ সালের পরীক্ষা। ২৭.৬.২০১৯ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইস্যু হয় আমার থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীর। অথচ আমার তিনটে বছর নষ্ট হয়ে গেল। খুব ঝড়ঝাপ্টার সম্মুখীন হয়েছি। এতদিন বেকার থাকার জ্বালা বুঝি। এবার চাই এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে।”