Partha Chatterjee: ইডি-জেল হেফাজতের পর এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

CBI: অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়েরও ২১ তারিখ অবধি সিবিআই হেফাজত হয়েছে। পার্থ ও কল্যাণময়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর।

Partha Chatterjee: ইডি-জেল হেফাজতের পর এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়
সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2022 | 6:17 PM

কলকাতা: ইডি হেফাজত থেকে জেল হেফাজত হয়ে এবার সিবিআই হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়েরও ২১ তারিখ অবধি সিবিআই হেফাজত হয়েছে। পার্থ ও কল্যাণময়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে চেয়ে এবং হেফাজতে চেয়ে বৃহস্পতিবারই সিবিআই আলিপুর আদালতে আবেদন জানায়। সেদিনই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, শুক্রবার পার্থকে সশরীরে হাজির হতে হবে। এদিন সেইমতো আদালতে হাজিরও হন তিনি। বারবার তাঁর আইনজীবী বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ, বয়স ৭০-এর ঘর ছুঁয়েছে। তবে আদালত আপাতত সিবিআই হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতে জানান, এই মামলায় তিন বার ডাকা হয়েছে পার্থকে। তিনি গিয়েছেন। ইডি তদন্তও করছে। একইসঙ্গে পার্থর আইনজীবী বলেন, সিবিআইকে দেখে মনে হচ্ছে, তাদের খুব তাড়া। আইনজীবী সেলিম রহমান এজলাসে বলেন, আর কিছুদিন পর পার্থর গ্রেফতারির ৬০ দিন পূর্ণ হবে। এরইমধ্যে সিবিআইয়ের এই তৎপরতা। তিনি প্রশ্ন করেন, আগে যখন তিন বার গিয়েছেন পার্থ, সন্দেহ থাকলে তখন কেন গ্রেফতার করা হয়নি?

পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মাস্টারমাইন্ড’ পার্থ। ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হতেই দুর্নীতি শুরু হয়। সিবিআইয়ের দাবি, এমন ৪০০ জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল, যাঁরা অযোগ্য। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘সেই সময় মন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মূল চক্রী ছিলেন, মাস্টারমাইন্ড।’ আরও কয়েকজন সাহায্য করলেও সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্য, ‘তিনি মূল আর্কিটেক্ট ছিলেন।’

পার্থর আইনজীবী এদিন জামিনের আর্জি জানান। বলেন, তাঁর মক্কেল জামিনের সমস্ত শর্ত মানতে রাজি। ৭০ বছর বয়স তাঁর, শারীরিকভাবে অসুস্থ। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন চাকরি থেকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করে মূল মাথাকে খুঁজে বের করতে চায়। বৃহত্তর স্বার্থে পার্থকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন বলে এদিন আদালতে দাবি করে সিবিআই।

এদিন আদালতচত্বরে কার্যত ছল ছল চোখে নিজের অতীত তুলে ধরেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যে এ ধরনের অপরাধ করতে পারেন না, তা বোঝাতে বিচারকের সামনে পার্থকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সব শুনলাম। মামলাগুলিতে আমার কী ভূমিকা? আমি মন্ত্রী ছিলাম। এসএসসি, প্রাইমারি বোর্ড নিজেরাই কাজ করত। তারা সবাইকে নিয়োগ করত। আমার কোনও ভূমিকা নেই। আমি শিক্ষিত, ইকোনমিক্স নিয়ে পড়েছি,  এমবিএ করেছি, আমার মামার নাম শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এখন আরও এক সংস্থা নতুন করে তদন্ত করতে চাইছে।’