Heroin seized: এসটিএফের দু’টি পৃথক অভিযানে বাজেয়াপ্ত ১০ কেজি হেরোইন
Special Task Force: গত ২৪ ঘণ্টায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালায় রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। একটি দল অভিযান চালায় উত্তরবঙ্গে। অন্যটি দক্ষিণবঙ্গে।
সুজয় পাল: দুটি পৃথক অভিযানে প্রায় ১০ কেজি পরিমাণ হেরোইন বাজেয়াপ্ত করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। আন্তর্জাতিক বাজারে এই মাদকের আনুমানিক মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালায় রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। একটি দল অভিযান চালায় উত্তরবঙ্গে। অন্যটি দক্ষিণবঙ্গে।
প্রথম দলটি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানা এলাকার লালগোলা থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের থেকে ২ কেজি ৭০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছে। এই হেরোইন মধ্যপ্রদেশ থেকে আসছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বহরমপুর থানায় এই সংক্রান্ত মামলা রুজু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই রাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশে মাদক পাচারের ছক ছিল কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্য দলটি দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ি থেকে এক অসমীয়া এবং এক মনিপুরি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম বিষ্ণু ছেত্রী এবং বিজয় দাহাল। যাদের কাছ থেকে মনিপুর থেকে আসা ৬ কেজি ৭৩ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছে। ধৃতরা নেপালে হেরোইন পাচারের ছক কষছিল বলে অভিযোগ। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, ধৃতরা মূলত পাচারকারী হলেও এই চক্রের জাল বহুদূর বিস্তৃত। খড়িবাড়ি থানায় ইতিমধ্যেই মামলা রুজু হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। ধৃতদের জেরা করে মূল পাণ্ডাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে মাদক এবং অন্যান্য় চোরা চালানকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের নাম মাঝে মধ্যেই উঠে আসে খবরের শিরোনামে। মাদক পাচারকারীদের সবথেকে পছন্দের জায়গা মুর্শিদাবাদ।
এর আগে চলতি মাসেই ৫৪৬ গ্রাম হেরোইন সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছিল সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি ছিব জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে। অন্যজন নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ পাকুর রোড লাগোয়া একটি লজে অভিযান চালায়। সেখান থেকেও ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গতমাসেও অ্যাম্বুলেন্সে করে হেরোইন পাচার করতে গিয়ে দুই পাচারকারী ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। মল্লারপুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে মুর্শিদাবাদ থেকে ৫০ লাখ টাকার মাদক সহ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের মাদর পাচারকারী দলের যোগসূত্রের হদিশ পেয়েছিলেন সিআইডির গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন : Fake Officer: ‘আপনার লাইফ বরবাদ, আমি সেন্ট্রালের লোক,’ ডাক্তারকে চমকে ধৃত ভুয়ো সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স অফিসার!