Dengue: ৯ জেলার ১২ ব্লকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে, ভাবাচ্ছে কলকাতা, বিধাননগরও
Dengue: ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বিবৃতিতে জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা শহর ছাড়তে পারবেন না।
কলকাতা: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ৩৯ তম সপ্তাহে পড়ল। স্বাস্থ্য ভবনের পরিসংখ্যান বলছে, গত সাতদিনে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার। ৯ জেলার ১২টি ব্লক বিশেষ নজরে স্বাস্থ্যকর্তাদের। তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা, ভগবানগোলা-১ ও ফরাক্কা হাওড়ার বালি জগাছা, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা, জলপাইগুড়ির মাল, দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়া, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, নদিয়ার রানাঘাট ২, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ, নদিয়ার নবদ্বীপ ও কৃষ্ণনগর-১।
যে হারে এই ১২টি এক সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গি বেড়েছে তা রীতিমতো উদ্বেগের। অন্যদিকে আর্বান লোকাল বডি’জ বা ইউএলবির মধ্যে কলকাতা পুর এলাকায় ৩৬ সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫২৫। ৩৭ সপ্তাহে তা ২ হাজার ১৪৬ হয়েছে। উৎসবের মরসুমে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রীতিমতো উদ্বেগের। কলকাতা পুর এলাকার পাশাপাশি বিধাননগর পুরনিগম এলাকার ছবিটাও যথেষ্ট চিন্তার। হাওড়ার বালি পুর এলাকা, বাঁকুড়া পুরসভা, হুগলির উত্তরপাড়া কোতরাং ও শ্রীরামপুর, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পুরসভা, উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদমের ছবিটাও ভয় ধরাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বিবৃতিতে জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা শহর ছাড়তে পারবেন না। পুজোয় অষ্টমী ছাড়া প্রতিদিনই হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু রাখতে বলা হয়েছে। জেলা, ব্লক, মহকুমা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, অ্যাডিশনাল সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের শহরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। দু’দিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে মৌমিতা ভট্টাচার্য নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। কিছুদিন আগেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই মারা যান তিনি। অন্যদিকে কলকাতা পুর এলাকার শুভ ব্রহ্ম মারা যান ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পুঁটিয়ারির বিষ্ণুপল্লিতে। সূত্রের খবর, একদিন আগেই জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শুভ। এর আগে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন মারা যান ডেঙ্গিতেই। একজন নবতিপর। অন্যজনের বয়স ৫৬ বছর।