Roddur Roy: রোদ্দুর রায় আদালতে, গেলেন না কোনও আইনজীবী, পত্রপাঠ মামলা খারিজ হাইকোর্টের
Roddur Roy: গত জুন মাসের ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের পর একাধিক থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত ভিডিয়ো পোস্ট করে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন রোদ্দুর রায়। এরপর অবশ্য জামিনে মুক্ত হন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত এফআইআর হয়েছিল, সেগুলি সবক’টি খারিজের দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে যান এই ইউটিউবার। গত জুলাই মাসে আদালতে গিয়েছিলেন রোদ্দুর। বৃহস্পতিবার সেই মামলাই খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ রোদ্দুরের আর্জি খারিজ করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন রোদ্দুর রায়ের পক্ষে কোনও আইনজীবীই এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না। একইসঙ্গে এই মামলায় নিম্ন আদালতে বিচারককে পার্টি করার দাবি সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি শম্পা সরকার।
বিচারপতি জানতে চান কেন এই সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, পিটিশনে রোদ্দুর রায় উল্লেখ করেন নিম্ন আদালতের বিচারক তাঁর কথা শোনেননি, তাঁকে জামিন দেননি সে কারণে এই পার্টি করার পরিকল্পনা। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি জানতে চান, তা হলে সিঙ্গল বেঞ্চ জামিন খারিজ করে দেয়, তবে কি ডিভিশন বেঞ্চেও বিচারপতিকে পার্টি করে দেবেন? এরকম হয় নাকি? এরপরই বিচারপতি রোদ্দুর রায়ের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত জুন মাসের ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের পর একাধিক থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। হেয়ার স্ট্রিট থানা, লেক থানা, পাটুলি থানা এবং বটতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রোদ্দুর রায়কে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। গ্রেফতারির ২০ দিন পর শর্তসাপেক্ষে ব্যাঙ্কশাল আদালতে জামিন পান।
ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিভিন্ন ভিডিয়ো বারবার বিতর্ক তৈরি করেছে। তাঁর ভাষা নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনেকেরই। তবে আঙুলের ফাঁকে রাখা গঞ্জিকায় সুখটান দিতে দিতে তাঁর ‘গানের গুঁতো’ আর ‘মোক্সাবাদ’ বোঝানোর ভক্তও নেহাত কম নেই। এহেন রোদ্দুরকে জেলবন্দি করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদল তেড়ে গালাগাল করতে থাকে রোদ্দুরকে। রোদ্দুরের গ্রেফতারিতে সমর্থন জানান। এক পক্ষ আবার রোদ্দুরের মুক্তির দাবিতে পথেও নামেন।