RG Kar case: মেয়ের খুনের ১৬২ দিন পর বিচারের প্রথম ‘সিঁড়ি’ পার, কী বললেন তিলোত্তমার বাবা?
RG Kar case: আদালত থেকে পেরিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, "সঞ্জয়কে দোষীসাব্যস্ত করেছেন বিচারক। সোমবার সাজা ঘোষণা করবেন। বিচারের প্রথম সিঁড়ি পেরোনো গিয়েছে। সোমবার তিনি যে সাজা ঘোষণা করবেন, তাতে বিচারের দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখতে পারব বলে আশা করি।"
কলকাতা: ১৬২ দিনের প্রতীক্ষা। অবশেষে বিচারের প্রথম ‘সিঁড়ি’ পার হল। শনিবার বিচারক অনির্বাণ দাস ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে দোষীসাব্যস্ত ঘোষণার পর আদালত কক্ষেই কেঁদে ফেলেন তিলোত্তমার বাবা। বিচারককে ধন্যবাদ জানালেন। একইসঙ্গে জানালেন, এবার লড়াইয়ের দ্বিতীয় সিঁড়ি।
গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে মেয়ের বিচারের জন্য লড়ছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই।
মেয়েকে হারানোর পর কেটে গিয়েছে ১৬২ দিন। তিলোত্তমার বাবা-মার অভিযোগ, শুধু সঞ্জয়ের একার পর এমন নৃশংস কাজ করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। তবে তাঁরা নজর রাখছিলেন, শিয়ালদা আদালত কী রায় দেয় সেদিকে।
এই খবরটিও পড়ুন
এদিন শিয়ালদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিলোত্তমার বাবা। বিচারক অনির্বাণ দাস ধৃত সিভিককে দোষীসাব্যস্ত ঘোষণার পর কেঁদে ফেলেন তিনি। পরে বিচারককে জানান, তাঁকে কিছু বলতে চান। বিচারক তাঁকে বলতে বললে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আপনার উপর আস্থা রেখেছিলাম।” বিচারক তাঁকে বলেন, “আপনাদের বক্তব্য সোমবার শুনব।”
পরে আদালত থেকে পেরিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সঞ্জয়কে দোষীসাব্যস্ত করেছেন বিচারক। সোমবার সাজা ঘোষণা করবেন। বিচারের প্রথম সিঁড়ি পেরোনো গিয়েছে। সোমবার তিনি যে সাজা ঘোষণা করবেন, তাতে বিচারের দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখতে পারব বলে আশা করি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচারককে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই। বিচারক যেভাবে আমাদের বিষয়টা দেখেছেন, তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”
তবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার একা জড়িত নয় বলে বিশ্বাস করেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সঞ্জয় রাই একা জড়িত বলে বিশ্বাস করি না। সেজন্যই তো আরও তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।”