Dengue in Kolkata: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে দায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা-আবাসন? কলকাতা পুরনিগমের বৈঠকে আর কোন বিষয় উঠে এল?
Dengue in Kolkata: বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। মেয়র, ডেপুটি মেয়র, অন্যান্য মেয়র পরিষদ এবং ১৬ টি বরোর চেয়ারম্যানরা।
কলকাতা: দিনে দিনে দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গত মরসুমের থেকে এখনও পর্যন্ত এবারে আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় ১ হাজারেরও বেশি। পরিসংখ্য়ান বলছে, গোটা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই তিন হাজার ছুঁইছুঁই। যার মধ্যে সিংহভাগই আবার জেলার। তবে উদ্বেগের বাতাবরণ রয়েছে শহর কলকাতাতেও (Dengue Outbreak in Kolkata)। কলকাতাতেও বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গি দমনে রণকৌশল ঠিক করতেই একদিন আগেই বৈঠকে বসেছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এদিন কলকাতা পুরনিগমে হয়ে গেল ডেঙ্গি সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
শহরের বিভিন্ন অংশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পুরনিগমের অন্দরেও। বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। মেয়র, ডেপুটি মেয়র, অন্যান্য মেয়র পরিষদ এবং ১৬ টি বরোর চেয়ারম্যানরা। সূত্রের খবর, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নবান্নের বৈঠকের আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরেরও একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে খবর।
কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা
অন্যদিকে সূত্রের খবর, শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলিকেই দায়ী করা হয়েছে কলকাতা পুরসভায় ডেঙ্গি সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। শহরের বুকে একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ অফিস এবং আবাসন রয়েছে। সেগুলিতে কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা কোনওভাবেই প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সেখানে আবর্জনা জমে ভয়ঙ্কর আকার নেয়। জমে থাকে জল। আর সেই জমা জলেই মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিন এ কথাও কলকাতা পুরসভার ডেঙ্গি সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উঠে এসেছে।
বৈঠকে উঠে এল কোন কোন প্রসঙ্গ
একইসঙ্গে বাদ যায়নি কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বেহাল অবস্থার কথাও। এদিন বৈঠকের শুরুতেই ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাস এবং ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ কিশোর রাউথ এই বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকে থাকা ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য অতীন ঘোষ এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নজরে আনেন। তা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়।
বলা হয়, এই এলাকাগুলিতে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা প্রবেশ করতে না পারায় সমস্যা আরও চরম আকার নিয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, কোল ইন্ডিয়া বা সি পি ডব্লিউ ডি-এর মতো একাধিক সংস্থার খালি জমি পড়ে রয়েছে। সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কিন্তু পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়াতেই এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সূত্রের খবর, এদিন মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র দুজনেই বৈঠকে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি এবং কলকাতা পুরসভার সবকটি বিভাগের কর্তা ও আধিকারিকদের আরও বেশি করে ডেঙ্গি দমনে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন। স্পষ্ট বলা হয় ডেঙ্গি রুখতে এখন থেকেই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিতে হবে। যে বিপজ্জনক বাড়িগুলি মানুষ বসবাসযোগ্য নয় সেখানে পুরসভার কর্মীরা ঢুকে দেখবেন কী অবস্থা হয়ে রয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী থেকে জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই এলাকায় এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে কেউ জ্বরে আক্রান্ত কি না সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে খোঁজ খবর নেবেন। এলাকায় এলাকায় মাইকে চলবে সচেতনতামূলক প্রচার।