Teacher Arrested: প্রাথমিকে চাকরির নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা, কলকাতা পুলিশের জালে সহকারী প্রধান শিক্ষক

Fraud Case: ধৃতের বিরুদ্ধে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দিব্যেন্দু শেঠ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। সেই সূত্র ধরেই বুধবার এক বিশেষ অভিযানে ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

Teacher Arrested: প্রাথমিকে চাকরির নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা, কলকাতা পুলিশের জালে সহকারী প্রধান শিক্ষক
গ্রেফতার সহকারী প্রধান শিক্ষকImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2023 | 8:46 PM

কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে এবার গ্রেফতার স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। ধৃত ওই সহকারী প্রধান শিক্ষকের নাম বিমল কুমার দলুই। তিনি মেদিনীপুর টাউনের চন্দ্র হাইস্কুলে কর্মরত। বুধবার কলকাতা পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসাররা তাঁকে গ্রেফতার করেন। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দিব্যেন্দু শেঠ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। সেই সূত্র ধরেই বুধবার এক বিশেষ অভিযানে ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগকারী দিব্যেন্দু শেঠও পশ্চিম মেদিনীপুরে বাসিন্দা। বাড়ি নানকর মাগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গামা চত্বরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে সে। দিব্যেন্দুর অভিযোগ, বিমল দলুই নামে ওই সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর থেকে দফায় দফায় সাড়ে তিন লাখ টাকা তুলেছেন। তারপর বেশ কিছু ভুয়ো নথিও দিব্যেন্দুকে দিয়েছিল বলে দাবি। কিন্তু কোনও চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। আর এদিকে ওই টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন না সহকারী প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনাটি নিয়ে কলকাতায় শেক্সপিয়র থানা এলাকায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসাররা। বুধবার এক বিশেষ অভিযানে তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে পুলিশ। ধৃত ওই ব্যক্তিকে জেরা করে তদন্তের সব দিক খতিয়ে দেখতে চাইছেন স্পেশাল সেলের অফিসাররা। উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে। তবে একইসঙ্গে যাঁরা মেধার বদলে, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।