Moloy Ghatak: তিনিই কি সেই ‘প্রভাবশালী’? কেন মলয় ঘটকের বাড়িতে অতর্কিতে CBI হানা?

Moloy Ghatak: নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচারের মতো দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। যদিও শাসক দলের দাবি, এগুলো নিছক রাজনৈতক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

Moloy Ghatak: তিনিই কি সেই 'প্রভাবশালী'? কেন মলয় ঘটকের বাড়িতে অতর্কিতে CBI হানা?
মলয় ঘটকের বাড়িতে চলছে সিবিআই তল্লাশি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 1:07 PM

কলকাতা : একের পর এক দুর্নীতির মামলায় রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ যখন তুঙ্গে, তার মধ্যেই সাত সকালেই মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআই-এর টিম। বুধবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের মোট ৬ টি বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। তল্লাশি চালানো হচ্ছে তাঁর হিসাব রক্ষকের বাড়িতেও। কিন্তু কেন এ ভাবে অতর্কিতে হানা?

কয়লা পাচার মামলায় আগেই সামনে এসেছে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম। আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয়কে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে একাধিকবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। একবার মাত্র তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। এরপর প্রত্যেকবারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থা অসহযোগিতার অভিযোগ তুলতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান।

সূত্রের খবর, কয়লা পাচার-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে গ্রেফতার করার পরই সামনে এসেছিল আসানসোলের বিধায়কের নাম। যে সময় লালার লোকজন কয়লা পাচার করতেন বলে অভিযোগ, সেই সময় বিধায়ক হিসেবে মলয় ঘটকের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। এই মামলায় শুধু লালা নন, অনেককেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে যে তথ্য সামনে এসেছে, তার ভিত্তিতেই মন্ত্রীকে তলব করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, কয়লা পাচারের বিষয়টাতে কোনও এক প্রভাবশালীর হাত থাকতে পারে মনে করা হচ্ছে। সেটাই মলয় ঘটক কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে তদন্তকারী সংস্থা। তিনি কোনওভাবে লাভবান হয়েছিলেন কি না, সেটাও জানতে চায় সিবিআই।

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরও হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল মলয় ঘটককে। কিন্তু তার আগেই বুধবার তাঁর বাড়িতে অকর্তিতে হানা দেয় সিবিআই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ ভাবে অকর্তিতে হানা দিলেই আসল সত্য বের করে আনা সহজ হয়। সম্ভবত সে কারণেই এই তল্লাশি শুরু হয়েছে। একদিকে বিবাদী বাগের বাড়িতে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে, আসানসোলে ও কলকাতায় তাঁর অন্যান্য বাড়িতেও নথিপত্রের সন্ধান চালাচ্ছেন তাঁরা।

ইতিমধ্যেই এই মামলায় বসিরহাটের ব্যবসায়ী আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও বিহারের ব্যবসায়ী সঞ্জয় মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে কোনও সূত্র পেয়েই তল্লাশি চালানো হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।