বর্ষশেষেও পিছু ছাড়ল না করোনা, নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত আরও ৫, বৃদ্ধি দৈনিক সংক্রমণেও
বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৭৪। একদিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৮২২ জন, যা বিগত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।
নয়া দিল্লি: বর্ষশেষেও মিলছে না স্বস্তি। জনগণ ও চিকিৎসক-গবেষকদের মধ্যে বাড়ছে শঙ্কা, কারণ দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (New Strain of Coronavirus)। বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও পাঁচজনের খোঁজ মিলেছে, যারা অভিযোজিত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মাত্র তিনদিনেই নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫-এ। অন্যদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বিগত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২১ হাজার ৮২২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ২৯৯জনের।
সংক্রমণের তালিকায় এখনও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৭৪। একদিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৮২২ জন, যা বিগত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৯ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৮-এ। তবে মোট আক্রান্তের প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষই সুস্থ হয়ে ওঠায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ক্রমশ বাড়ছে সুস্থতার হার। এখনও অবধি দেশে মোট ৯৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৬ জন, দেশে সুস্থতার হার ৯৬.০৪ শতাংশ। অন্যদিকে শুরু থেকেই দেশে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম, বর্তমানে মৃত্যুর হার কমে ১.৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: উপদ্রুত ছত্তীসগঢ় নয়, রাজনীতির রঙে বাংলা-বিহারেই বেশি পুলিসি নিরাপত্তা, চমকপ্রদ পরিসংখ্যান
তবে ব্রিটেন থেকে আগত যাত্রীদের মধ্যে অভিযোজিত ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলায় কিছুটা চিন্তা বেড়েছে। গত মঙ্গলবারই প্রথম অভিযোজিত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছেন। গতকাল নতুন করে ১৪ জন আক্রান্ত হওয়ায় সেই সংখ্যাটা বেড়ে ২০-তে পৌঁছেছিল। আজ ফের নতুন করে পাঁচজনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে যাবতীয় বিমান পরিষেবায় স্থগিতাদেশ আরও সাতদিন বাড়ানোর ঘোষণা করেন বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। জানানো হয়, নতুন বছরের ৭ জানুয়ারি অবধি বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিটেন থেকে দেশে আগত যাত্রীদেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে। এছাড়া নতুন স্ট্রেনের আগমনের কারণেই রেশ টানা হয়েছে বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠানেও। সংক্রমণ রুখতে দিল্লি (Delhi), মুম্বই (Mumbai), চেন্নাই (Chennai), পঞ্জাব (Punjab) ও কেরলে (Kerala) জন সমাগমে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি রাত্রিকালীন কার্ফুও (Night Curfew) জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বছর শেষে স্বস্তির খবর! বাড়ল আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা