TMC Panchayat: ১৫-তে ১৫ তৃণমূলের, তারপরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারছেন না প্রধান
TMC: কার্তিক ভোটে এগিয়ে থাকলেও তাঁকে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিয়মিত দলেরই একাংশ গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়ে থাকছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
মেদিনীপুর: দলের নির্দেশে ভোটে লড়েছেন, জিতেছেন, পঞ্চায়েতের প্রধানও হয়েছেন। অভিযোগ, দলের সম্মতিতে ভোটে লড়াই, অথচ দলের একাংশের জন্যই গ্রামপঞ্চায়েতে ঢুকতে পারছেন না। মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ব্লকের সরবেড়িয়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবারও উত্তপ্ত হয় এলাকা। বিক্ষুব্ধদের চাপের মুখে এদিনও পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেননি প্রধান। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি তাঁর।
সরবেড়িয়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতে মোট ১৫টি আসন। সবকটি আসনই জিতেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, কমল জানাকে প্রধান করার নির্দেশ দলের। এদিকে তাতে অমত দলের একাংশের। তাতেই বাধে গোল। কমল জানা ও দলেরই আরেক সদস্য কার্তিকচন্দ্র ভুঁইয়্যার মধ্যে ভোটাভুটি হয়। সেখানে কার্তিক ৯টি ভোট পান, কমল পান ৬টি।
কার্তিক ভোটে এগিয়ে থাকলেও তাঁকে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিয়মিত দলেরই একাংশ গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়ে থাকছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দাসপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার পাত্রের বক্তব্য, কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য দলের নির্দেশ অমান্য করেছেন। সে কারণেই এমন গোলমাল। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও জানান।
সিপিএমের মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য গুণধর বোস বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটটা কীভাবে হয়েছে সেটা সকলেই জানে। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে। নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। আদালতে মামলা চলছে। অথচ ১৬ তারিখের মধ্যে নাকি বোর্ড গঠন করে ফেলল। এত গোষ্ঠী ওদের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো হবেই। সরবেড়িয়া-২ তার উদাহরণ মাত্র। ১৫টা জিতেও এই অবস্থা। বিরোধীরা নেই একজনও। তারপরও এ অবস্থা। তাহলে ওরা আর কী পঞ্চায়েত চালাবে, আর মানুষকেই বা কী পরিষেবা দেবে?”