অবসরের ভাবনা ‘বদল’ লিয়েন্ডারের
নতুন বছরে লিয়েন্ডারের লক্ষ্য ১০০ গ্র্যান্ডস্লাম ম্যাচ খেলা।
কলকাতায় এসে লিয়েন্ডার জানান, ” গত ৩০ বছর ধরে টানা টেনিস খেলেছি। ক্লান্তি এসেছিল শরীরে। একসময় মনে হয়েছিল, না এবার ইতি টানার সময় হয়েেছে। কিন্তু গত ১০ মাস ধরে করোনার ফলে বাড়িতে থাকার ফলে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছি কেরিয়ার নিয়ে। শরীরের ক্লান্তিও ক্রমশ কমেছে দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকার ফলে। তাই নতুন করে ভাবছি। ২০১৯ সালে আমি ভেবেছিলাম, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দিনে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা ট্রেনিং। নিয়মের জীবন। একসময় ভেবেছিলাম টেনিস কেরিয়ারকে আর দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।কিন্তু করোনার ফলে বাড়িতে থাকার জন্য বদল এসেছে আমার মানসিকতায়। এখনআমার লক্ষ্য ভারতের নাম ইতিহাসে তুলে ধরা। চলতি বছর মার্চে জাগ্রেবে সবচেয়ে বেশি ডেভিস কাপ ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়েছি। ৪৬টি গ্র্যান্ডস্লাম (Grandslam) ম্যাচ জেতার রেকর্ড। টোকিও অলিম্পিক খেললে ৮টি অলিম্পিক খেলার রেকর্ড গড়ব। আর এখন আমার লক্ষ্য ১০০টি গ্র্যান্ডস্লাম ম্যাচ খেলা। আাপাতত ৯৬টি ম্যাচ খেলেছি আমি।”
লি-র কথাতেই স্পষ্ট, টোকিও অলিম্পিকের আগে যদি ১০০টি গ্র্যান্ডস্লাম ম্যাচ না খেলেন, তবে আরও দীর্ঘায়িত হবে ৪৭ বছরের লি-র কেরিয়ার। কলকাতায় এসে অবসর ভাবনা সরিয়ে আরও এগিয়ে চলা ইঙ্গিত দেওয়ার পর খুশি কলকাতার টেনিস প্রেমীরা।
টেনিসের পাশাপাশি দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ক্রীড়াবিদদের মনোভাব নিয়েও মুখ খুললেন ভারতীয় টেনিসের কিংবদন্তী। দিন কয়েক আগেই কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের যে আন্দোলন, তার পাশে দাঁড়িয়েছেন অলিম্পিয়ান বিজেন্দ্র সিং। এমনকি নিজের রাজীব খেলরত্ন পুরস্কারও ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে আরেক পদকজয়ী অলিম্পিয়ান লিয়েন্ডারের মন্তব্য, ” বিজেন্দ্র-র মতকে আমি সম্মান জানাই। তবে আমি মনে করি, আমি যে সম্মান বা পুরস্কার পেয়েছি, তা আমাকে দেশ দিয়েছে। আমাকে দেশবাসী দিয়েছে। সেটা আমি খুব সম্মান করি। এখনও ম্যাচ খেলতে নামার আগে দেশবাসীর কথা ভেবে, জাতীয় পতাকার কথা ভেবে আমি মোটিভেট হই।”
আরও পড়ুন:ধরাসায়ী প্রতিপক্ষ, পিঙ্ক বলে চমক ভারতীয় পেসারদের
পরিবারের কথা ভেবে নিউ নর্ম্যাল বিশ্বে এখনও কোনও টেনিস টুর্নামেন্ট খেলেননি লিয়েন্ডার। পদকজয়ী অলিম্পিয়ানের দাবি, পরিবারের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।