‘লভ জিহাদ’ রুখতে শিবরাজও হাঁটলেন যোগীর পথে, জারি হল অধ্যাদেশ
রাজ্যপাল এই বিলে সম্মতি দিলে ১৯৬৮ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের পরিবর্তে এই নতুন আইনটি কার্যকর হবে।
ভোপাল: উত্তর প্রদেশের দেখাদেখি ধর্মান্তকরণ রুখতে এবার আইন কার্যকর করার শেষ ধাপে পৌঁছাল মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারও। মঙ্গলবার মন্ত্রীসভায় ধর্ম স্বাধীনতা ২০২০ (Freedom of Religion bill 2020) নামক বিলটিতে সম্মতির জন্য রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল (Anandien Patel)-র কাছে পাঠানো হয়।
চলতি মাসেই মধ্য প্রদেশের মন্ত্রীসভার বিশেষ বৈঠকে এই বিলটি ধ্বনিভোটে পাশ করানো হয়। আজ ভার্চুয়ালি মন্ত্রীসভার বৈঠকে তা পেশ করা হয় এবং সম্মতি মিলতেই তা রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে মধ্য প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র (Narottam Mishra) বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ধর্ম স্বাধীনতা বিল সহ আরও কয়েকটি বিলে সম্মতি জানানো হয়েছে। বিধানসভায় এই বিলগুলি পেশ করার পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই অধিবেশন পিছিয়ে গিয়েছে। তাই ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমেই এই বিল পাশ করানো হল। ”
আরও পড়ুন: ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনের একমাস: কেমন সাড়া?
ধর্ম স্বাধীনতা ২০২০ খসড়া আইন অনুযায়ী, নাবালিকা বা কোনও মহিলা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির কাউকে জোর করে ধর্মান্তকরণের (Conversion of Religion) অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের ২ থেকে ১০ বছর অবধি সাজা হতে পারে। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানাও হতে পারে।
মহিলা ছাড়া অন্য কাউকে ধর্মান্তরিত করার ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও মিলবে সাজা। সেক্ষেত্রে এক থেকে পাঁচ বছর শাস্তি ও কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কেউ স্বেচ্ছায় ধর্মান্তকরণে আগ্রহী হলে দুমাস আগে নোটিশ দিতে হবে, নাহলে সেই বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন পাশ করার পরই মধ্য প্রদেশেও এই আইন কার্যকর করতে উঠে পড়ে লাগে সরকার। চলতি মাসের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন। রাজ্যপাল এই বিলে সম্মতি দিলে ১৯৬৮ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের পরিবর্তে এই নতুন আইনটি কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত বিহারেও আঁচ কৃষক আন্দোলনের, রাজভবন পৌঁছনোর আগেই সংঘর্ষ