Tripura Violence: মসজিদ ভাঙা ও ধর্ষণের খবর ভুয়ো! দুই রাজ্যে হিংসা রুখতে এ বার আসরে নামল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও
MHA on Tripura Violence: শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়, মসজিদ ভাঙার খবর ভুয়ো।
আগরতলা: ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙা (Mosque Demolition in Tripura) ও ধর্ষণের (Physical Assault) যে খবরগুলি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) তরফে বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হল। বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক খবর ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ত্রিপুরার গোমতী (Gomati) জেলায় একটি মসজিদ ভাঙচুর ও একাধিক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রেও অশান্তি ছড়িয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের পর এ বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও জানানো হল খবরগুলি ভুয়ো এবং তথ্য বিকৃত করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ত্রিপুরার গোমতী জেলার কাঁকড়াবন এলাকায় একটি মসজিদ ভাঙচুরের খবর বিভিন্ন জায়গায় প্রচারিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলি সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো। তথ্যকে বিকৃত করে সাধারণ মানুষকে ভুলপথে পরিচালনের চেষ্টা করা হচ্ছে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কাঁকড়াবনের দরগাবাজার এলাকার ওই মসজিদটি অক্ষত রয়েছে। গোমতী জেলার পুলিশ প্রশাসন এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভুয়ো খবরের ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রেও যে হিংসা ছড়িয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিতর্কিত মন্তব্য ও ভুয়ো খবরের কারণে অমরাবতীতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সকলকে যে কোনও প্রকারে শান্তি বজায় রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবারই মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল একটি স্থানীয় মুসলিম সংগঠন। প্রায় আট হাজারেরও বেশি মানুষ অমরাবতীর জেলা কালেক্টেরের অফিসের বাইরে জমায়েত হয় এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা থামানোর দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপি জমা দিয়ে বের হওয়ার পরই শহরের তিনটি জায়গায় বিক্ষোভকারীদের উপরে পাথর ছোড়া হয়। চিত্রা চক, কটন মার্কেটে পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বাধ্য হয়ে লাঠি চালায় পুলিশ।
দোকান ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদেই শনিবার সকালে বনধের ডাক দেয় বিজেপি। কিন্তু বনধ চলাকালীনও ফের একাধিক জায়গায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় ও পাথরবৃষ্টি করে বলে জানা গিয়েছে। কোতওয়ালি থানার অধীনে এখনও অবধি হিংসা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১১টি এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ জনকে।