AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Odisha: শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মাশুল, আদিবাসী পরিবারকে সামাজিক বয়কট

Odisha, keojhar. কেওনঝার জেলার যুগলকিশোরপুর গ্রামের ২২ বছর বয়সী গুনারাম মুর্মু এবং তাঁর স্ত্রী সুগি মুর্মু অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখ একটি শিশু কন্যার জন্ম দেন।

Odisha: শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মাশুল, আদিবাসী পরিবারকে সামাজিক বয়কট
ছবি- প্রতীকী চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 8:46 AM
Share

ভুবনেশ্বর: ওড়িশার কেওনঝারে ঘটল এক আজব ঘটনা। সমাজ এগিয়ে গেলেও শিক্ষা অভাব আজও কিছু মানুষের জীবনে অন্ধকারকে ডেকে নিয়ে আসে। ওড়িশার কেওনঝার জেলার একটি গ্রামের এক আদিবাসী পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করার অভিযোগ সামনে এসেছে। তাদের অপরাধ ওই পরিবারে জন্ম নেওয়া এক নবজাতক শিশুকন্যাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগতভাবে ওই গ্রামের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। এই অপরাধেই সদ্য পৃথিবীর আলো দেখা ও শিশুর মা ও বাবাকে সামজির বঞ্চনার স্বীকার হতে হয়েছে।

কেওনঝার জেলার যুগলকিশোরপুর গ্রামের ২২ বছর বয়সী গুনারাম মুর্মু এবং তাঁর স্ত্রী সুগি মুর্মু অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখ একটি শিশু কন্যার জন্ম দেন। সন্তান জন্মবার আগেই গুনারাম অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন নিজের স্ত্রীকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাবেন বলে, কিন্ত অ্যাম্বু্লেন্স আসার আগেই তাঁর স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেন।

প্রসবের পর যখন গুনারামের স্ত্রী ও তাঁর শিশু কন্যাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ঠিক তখনই মাটিতে কিছুটা রক্ত পড়ে, এই ঘটনাই গ্রামবাসীদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। “গ্রামের প্রধান ও অন্যান্যরা বলেন, প্রথা অনুযায়ী কোনো মহিলাকে সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে পাঠানোর অর্থ গ্রামকে অপবিত্র করা হয়। গ্রামের শুদ্ধিকরণের জন্য আমাকে তিনটি মোরগ, হান্ডিয়া (একটি স্থানীয় মদ) এবং কিছু পূজার উপকরণ দিতে বলা হয়েছিল। আমি এই ধরনের কুসংস্কার নিজে বিশ্বাস করি না। তাই আমি তাদের যাবতীয় প্রস্তাব গুলিকে প্রত্যাখ্যান করেছি।” বলেন গুনারাম।

গুনারাম গ্রামবাসীদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পড়েই আদিবাসীরা সামাজিকভাব তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে বয়কট করেছে। এরপরেই ১ নভেম্বর ঘাসিপুরা থানার অভিযোগ দায়ের করেন গুনারাম। থানা সাব ইন্সপেক্টর মানস রঞ্জন পান্ডা ঘটনার তদন্তে গ্রামে গিয়েছিলেন, তিনি জানিয়েছেন প্রসবের পর মাটিতে রক্ত পড়ে থাকার ঘটনায় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সমস্যার সমাধান করেছেন।

আরও পড়ুন Submarine Data Leak: সাবমেরিনের তথ্য ফাঁসে নৌসেনার কমান্ডার সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই