Justice Abhijit Ganguly: এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির কোন কোন মামলা বিচারাধীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে?
Justice Abhijit Ganguly: তিনি মামলা থেকে সরে গেলে কী হবে নিয়োগ মামলার ভবিষ্যৎ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। তবে অর্ডার কপি হাতে আসার পর জানা যায়, দুটি সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালির করা মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। অনেকেরই আশঙ্কা ছিল নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও মামলাই আর শুনতে পারবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁর নির্দেশে দুর্নীতির তদন্ত গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে, যাঁর কলমের খোঁচায় একের পর এক অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি গিয়েছে, তিনি মামলা থেকে সরে গেলে কী হবে নিয়োগ মামলার ভবিষ্যৎ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। তবে অর্ডার কপি হাতে আসার পর জানা যায়, দুটি সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালির করা মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে কোন কোন মামলা থাকল বিচারপতির এজলাসে?
১. প্রাথমিকের ওএমআরশিট মামলা চলছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলা করেছিলেন রাহুল চক্রবর্তী ও শান্তনু সিট। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মামলায়। মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
২. এসএসএসি গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। মামলাকারী সন্দীপ প্রসাদ। টাকার বিনিময়ে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়। ২০২১ সালে সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়।
৩. এসএসসি গ্রুপ সি মামলা। মামলাকারী সাবিনা ইয়াসমিন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই মামলা। বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুলে সাবিনা ইয়াসমিন যে মামলা করেছিলেন, তার ভিত্তিতে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে চাকরিহারারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়ায় আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছ শীর্ষ আদালত।
৪. এসএসসি গ্রুপ ডি সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারীর নাম লক্ষ্মী তুঙ্গা। বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের লক্ষ্মী তুঙ্গা। সেই মামলায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলাও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
৫. এসএসসি-র নবম দশম মামলা। মামলাকারীর নাম শেতাবুদ্দিন।
৬. এসএসসি-র নবম দশম নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারীর নাম আবদুল গনি আনসারি।
৭. নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। মামলাকারীর নাম অনিন্দিতা বেরা। এই মামলাও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মেধাতালিকার বাইরে থেকে নিয়োগ হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনিন্দিতা বেরা।
৮. ববিতা সরকারের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দেবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই বিচারপতির নির্দেশেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার।
৯. প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত মামলা। প্রায় ৪৪ হাজার চাকরি প্রাপকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নয়, এই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল। মামলাকারীর নাম প্রিয়াঙ্কা নস্কর।
শুক্রবার দিনভর জল্পনার পর হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বাকি মামলাগুলিও চলে যাবে। যে গ্রাউন্ডে এই মামলা চলে গিয়েছে, সেই গ্রাউন্ডেই বাকিগুলো চলে যাবে।’ তবে আপাতত এই সব মামলা সরানোর কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।