রূপান্তকামীদের জন্য আন্তর্জাতিক বিউটি প্যাজেন্টে ভারতের প্রতিনিধি আর্চি সিং
রূপান্তরকামীদের নিয়ে সমাজ এখন যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু এখনও অনেকটা পথ চলতে হবে। কাজ করতে গিয়ে যে সব বাধার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি, তা থেকে এটাই আর্চির উপলব্ধি।
কারও জীবনের গল্প আপনাকে হয়তো অনুপ্রাণিত করে। কারও কারও গল্প শুধু একজনকে নয়, গোটা সমাজকে অনুপ্রেরণা দেয়। আর্চি সিংয়ের গল্প ঠিক তেমনই।
কে এই আর্চি? কী তাঁর পরিচয়? আর্চির গল্পটাই বা কেমন?
আর্চি একজন মডেল। রূপান্তরকামী ভারতীয় মডেল। রূপান্তকামীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বিউটি প্যাজেন্টে এবার ভারত থেকে যোগ দিচ্ছেন আর্চি। ২২ বছরের আর্চি দিল্লির বাসিন্দা। বাবা, মা, দুই বোনকে নিয়ে আর্চির পরিবার। মধ্যবিত্ত মানসিকতার মধ্যেও আর্চি যেমন, তাঁকে ঠিক তেমন ভাবেই গ্রহণ করেছিলেন তাঁর পরিবার। মডেলিং নিয়েও পরিবার থেকে কোনও বাধা আসেনি বলেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, ব্যান্ডেনা দিয়ে ফ্যাশন! কীভাবে সম্ভব?
ছোট থেকেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে মডেলিং করতেন আর্চি। সেখান থেকেই আরও সুযোগ আসতে থাকে। এই মুহূর্তে ভারতের রূপান্তরকামী মডেলদের মধ্যে তিনি নাকি সর্বকনিষ্ঠ।
রূপান্তরকামীদের নিয়ে সমাজ এখন যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু এখনও অনেকটা পথ চলতে হবে। কাজ করতে গিয়ে যে সব বাধার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি, তা থেকে এটাই আর্চির উপলব্ধি। তাঁর কথায়, “মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে রূপান্তরকামীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। আমার ছবি দেখে হয়তো কাজের জন্য ভাবেন কেউ। কিন্তু যখন আমার পরিচয় জানতে পারেন, তখন তাঁরা বলেন, আমাদের একজন মহিলা মডেল প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন, আপনারা ম্যানিকুইন দেখেন তো দোকানে… সব তো কালোই হয়: পরমা ঘোষ
ফ্যাশনের ধারণা একেবারে বদলে দিয়েছেন আর্চির মতো কিছু মানুষ। বদলে ফেলেছেন মডেলিংয়ের সমীকরণ। নিজের শর্তে যেমন বাঁচতে শিখেছেন আর্চি, তেমনই তৈরি করেছেন নিজের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। আন্তর্জাতিক বিউটি প্যাজেন্টে জয়ী হলে নিজের সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন আর্চি।