Skincare Tips: মুখের অবাঞ্ছিত লোমকে ‘টা টা’ বলতে এই ৩ সহজ ঘরোয়া উপায়ই যথেষ্ট!

ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখের অবাঞ্ছিত চুল বা লোম নির্মূল করা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি কমানো যেতে পারে। চিনি, লেবুর রস, জল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে চুলের বৃদ্ধি আটকাতে পারেন।

Skincare Tips: মুখের অবাঞ্ছিত লোমকে 'টা টা' বলতে এই ৩ সহজ ঘরোয়া উপায়ই যথেষ্ট!
মুখের অবাঞ্ছিত লোম 'টা টা' বলবেন কীভাবে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2022 | 10:00 PM

মুখের মধ্যে অবাঞ্ছিত চুল দূর করার জন্য বাড়িতে ও পার্লারে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট করেছেন। এবার মুখের বাড়তি চুল অপসারণের জন্য সহজ ও কার্যকরী উপায় চলে এসেছে। চুলের বৃদ্ধি ও অবস্থান বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া সবচেয়ে আগে দরকার। অস্থায়ী পদ্ধতি অনুসারে প্লাকিং ও থ্রেডিং হল অন্যতম কারণ। প্লাকিংয়ের জন্য ফলিকলগুলি থেকে চুল ছেটে ফেলতে সহায়তা করে। চিবুকের নীচে, ভ্রু-র মাঝখানে ও নীচের অংশের জন্য প্লাকিং করা যায়। ঠোঁচের উপরের অংশের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত নয়। যেখানে আগে থ্রেড বা প্লাকিং করবেন, সেই জায়গায় আগে তুলো দিয়ে পরিস্কার করে মুথে নিতে হবে। তারপর হালকা অ্য়ান্টিসেপটিক দ্রবণে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

থ্রেডিং করা খুবই সাধারণ ও সহজ কাজ। এটি ঠোঁটের উপরে ও ভ্রু সুন্দর করে আঁকতে সাহায্য করে। আসলে ভ্রুয়ের সঠিক আকার দেওয়ার জন্যই থ্রেডিং করা হয়। ঘন ধব থ্রেডিয়ের ফলে ত্বকের মধ্য়ে জ্বালাভাব দেখা যায়। সংবেদনশীল ত্বকে থ্রেডিংয়ের পর র‍্যাসেস ও ফুসকুড়ির মত বেরিয়ে যায়। এছাড়া ব্রণ থাকলে থ্রেডিং চলতে থাকলে ব্রেকআউট হতে পারে।

মুখের অবাঞ্ছিত চুলের জন্য ওয়াক্সিং ব্যবহার করতে পারেন। অনেক বিউটি পার্লারে মুখের চুল অপসারণের জন্য কাটোরি ওয়াক্সিং করানো হয়। কোল্ড ওয়াক্স মুখের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে গন্য করা হয়। মুখের বড় অংশে ওয়াক্সিং এড়িয়ে চলুন।

এপিলেশন- চুল অপসারণের জন্য একটি এপিলেটর দারুণ কার্যকরী। এটি একধরনের গ্যাজেট। মুখের চুলকে ত্বক থেকে আলাদা করতে এপিলেটরের কোনও তুলনা হয় না। এর ফলে ৪-৬ সপ্তাহ স্থায়ী থাকে।এপিলেটর চুলকে শিকড় থেকে নির্মূল করতে সাহায্য করে। প্রথম দিকে একটু ব্যাথা বেদনা পেতে পারেন।

স্থায়ী পদ্ধতি করাতে হলে তাকে ইলেক্ট্রোলাইসিস এবং লেজার বলা হয়। উভয় পদ্ধতিতে ফের চুলের বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এখন ট্রান্সডার্মাল ইলেক্ট্রোলাইসিস করা হয়, তাতে সূঁচ ব্যবহার করা হয় না। একজন দক্ষ অপারেটর খুঁজে পাওয়া বেশ ভাগ্যের ব্যাপার।

লেজার একটি তীব্র আলোর রশ্মি। যা চুলের ফলিকলগুলিকে শোষন করে নেয়। লেজার চুলের ফলিকলের চুল তৈরি করার ক্ষমতাকে নিষ্ক্রিয় করে তোলে। ত্বকের বাকি অংশের ক্ষতি রোধ করতে কুলিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে পুনরায় বৃদ্ধি ঘটে। একটি ভাল লেজার ক্লিনিক খুঁজে পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখের অবাঞ্ছিত চুল বা লোম নির্মূল করা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি কমানো যেতে পারে। চিনি, লেবুর রস, জল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে চুলের বৃদ্ধি আটকাতে পারেন। এই পেস্ট মুখের ত্বকে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এমনটা সপ্তাহে এক থেকে দুবার প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়া ৩ চা চামচ গুঁড়ো বার্লি, এক চা চামচ ঠান্ডা দুধ, ২-৩ চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মেশাতে পারেন। এরপর মুখের ত্বকে প্রয়োগ করে ২০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩বার করুন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়ে চুলের বৃদ্ধি না ঘটাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:  Simple Beauty Tips: রোজকার এই ৫ সহজ বিউটি টিপস মেনে চললেই ত্বক থাকবে সুস্থ-কোমল-উজ্জ্বল!