Lip Care Tips: প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন? ঠোঁটের যত্ন নিতে ৫টি জরুরি টিপস মেনে চলুন
ঠোঁচের যত্নের জন্য লিপস্টিক কীভাবে ব্যবহার করবেন, ব্য়বহার করার সময় কী কী মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি জেনে নিন এখানে...
নিউ নর্ম্যালে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তাতে কী! অল্প মেকআপেও লিপস্টিকের ছোঁয়া থাকবেই। মেকআপ করেছেন. কিন্তু লিপস্টিক ব্যবহার করেননি, এমন মহিলা পাওয়া দুস্কর। পোষাকের সঙ্গে বা ত্বকের ধরন অনুযায়ী বাজারে অনেক লিপশেড পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বিভ্রান্তিও তৈরি হয় বৈকি। তবে লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটা আতঙ্ক থেকেই থাকে। তা হল, ত্বকের ক্ষতি।
সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে প্রখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড গুরভিন ওয়ারাইচ লিপস্টিক প্রয়োগে কী কী করণীয় ও কোন কোন জিনিস এড়িয়ে যাবেন, তা নিয়ে কিছু জরুরি তথ্য শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, “লিপস্টিক মূলত তেল এবং মোমের মিশ্রণ। লিপস্টিকের রঙ বিভিন্ন রং এবং রঞ্জক থেকে আসে।”
রঞ্জকগুলি বিভিন্ন ধাতুর সংমিশ্রণ (সাধারণত অক্সাইড)। তবে তবে ব্যবহৃত ধাতুর মাত্রাগুলি নিরাপত্তা সীমার মধ্যে ভাল। কিন্তু আপনার যদি একজিমা, সংবেদনশীলতা, কালচে ঠোঁট হয়, প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন তাহলে সমস্যা হতে পারে।এই রঙ্গকগুলি ঠোঁটের একজিমা বা এমনকি পেরিওরাল ডার্মাটাইটিস ঘটাতে পারে বা বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে ঠোঁট কালো হয়ে যায় বা মুখের চারপাশে পিগমেন্টেশন তৈরি হয়।
স্বাস্থ্যকর ঠোঁটের জন্য এখানে করণীয় রয়েছে
– লিপস্টিক ব্যবহার করার আগে এসপিএফ-সহ লিপবামের একটি স্তর করুন।
-গাঢ় ম্যাটের চেয়ে চকচকে ন্যুড ব্যবহার করুন।
– দিনে ২ বারের বেশি রিটাচ করবেন না।
– যখনই সম্ভব লিপস্টিক থেকে ব্রেক নিন।
– লিপস্টিকের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করে নিন।
স্বাস্থ্যকর ঠোঁটের জন্য কী করবেন না
– বারবার ঠোঁট চাটবেন না একেবারেই। – ধূমপান করবেন না। – যাঁদের লিপ এগজিমা রয়েছে, তাঁরা লিপস্টিক এড়িয়ে চলুন। – দীর্ঘক্ষণ সূর্যের প্রখর রোদের মধ্যে থাকবেন না। – অ্যানিমিয়া থাকলে লিপস্টিক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। – কারোর যদি জেনেটিক কারণ থাকে. তাহলে লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভাল।
আরও পড়ুন: Winter Care: শীতের সময় ত্বককে হাইড্রেট রাখা জরুরি! তার জন্য কী কী করণীয়, রইল কিছু টিপস