Pandemic Fashion: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আসছে, তাই আবার বদলে যেতে শুরু করেছে ফ্যাশনের ধারা
এনপিডি গ্রুপের একটি জরিপ অনুযায়ী হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেলগুলি অফিস ড্রেস কোডও বদলে ফেলেছে। মার্কিন ভোক্তাদের ৩৫ শতাংশের এখন কর্মক্ষেত্রে ক্যাসুয়াল ড্রেস কোড আছে।
ম্যাসি ইনক (এমএন) থেকে টার্গেট কর্পোরেশন (টিজিটি.এন) পর্যন্ত, খুচরো বিক্রেতারা তাদের সেকেন্ড কোয়ার্টারে পোশাক বিক্রির গতিশীলতা দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আর এখন তারা শুধু স্কুল কলেজের জন্যই না, বাড়িতে বসে জুম কলে মিটিং করতে পারার পোশাকের ডিমান্ড মেটাতেও নিজেদের প্রস্তুত করে তুলেছে। প্যান্ডেমিকের প্রভাবে জীবনযাপনের যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তাতে আমাদের ফ্যাশন বা স্টাইলেরও কিছু বিশেষ পরিবর্তন এসেছে।
এই সেকেন্ড কোয়ার্টারে প্যান্ডেমিকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় খুচরা বিক্রেতাদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক, স্পোর্টস কোট এবং শিশুদের পোশাকের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেল্টা ভ্যারিয়েশনের দ্রুত বিস্তার অফিস থেকে কাজ করার সম্ভাবনাকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে। এমনকি শিক্ষা ক্ষেত্রেও সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।
ম্যাসির ফ্যাশন অফিসের প্রধান ডুরান্ড গিওন বলেন, “গ্রাহকরা যেমন ভিডিয়ো কলের জন্য ‘অ্যাবাভ দ্য কী-বোর্ড’ পোশাকের কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি তাঁরা তাঁদের জীবনে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরে পেতে নিত্য নতুন পোশাকের কেনা কাটাও করছেন।”
টার্গেটের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান প্রবৃদ্ধি কর্মকর্তা ক্রিস্টিনা হেনিংটন কোম্পানির সেকেন্ড কোয়ার্টার আয়ের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “স্কুলগুলি চালু হওয়ার পর থেকেই ডিসকাউন্টার হাই-ব্রিড স্কুলিং পরিবেশের জন্য ইনভেন্টরি তৈরি করা হচ্ছে।”
হেনিংটন বলেছিলেন বিনিয়োগকারীদের বলেন, “যেহেতু কলেজের নবীনরা প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসে যেতে চায়, আমাদের মার্চেন্ডাইজিং এবং ইনভেন্টরির পরিকল্পনাগুলি তাদের কথা ভেবেই করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো তাদের কলেজ জীবনের প্রথম বছরটা ভার্চুয়ালি কাটাতে চলেছে। আমরা তাদের জন্য একদম সঠিক পোশাক নিয়েই উপস্থিত হয়েছি।”
গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনপিডি গ্রুপের মতে, ২০১৯ সালে মহামারী-পূর্ব অবস্থার তুলনায় ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মার্কিন পোশাকের ইউনিট বিক্রির পরিমাণ ১২% বেড়েছে।
গ্রেড-স্কুলের শিশুরা গ্রাফিক টিজ এবং ডেনিম জিন্স দিয়ে তাদের প্যান্ডেমিককালীন ওয়াড্রোবকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে। অন্যদিকে তাদের বাবা মায়ের স্টাইল কাজের সূত্রে স্মার্ট ক্যাজুয়ালে পরিণত হয়েছে। একদম সাধারণ পোশাক, জুতা, ব্লাউজ এবং স্ল্যাকের সঙ্গে তাঁরা ব্যবসা এবং আরামকে মিলিয়ে ফেলতে পেরেছে।
এনপিডি গ্রুপের পোশাক বিশ্লেষক ক্রিস্টেন ক্লাসি-জুম্মো বলেন, “মানুষ কর্পোরেট জীবনে খুব ফিটফাট একটা ওয়াড্রোব তৈরি করে রাখেন। কিন্তু প্যান্ডেমিকের প্রভাবে তাঁদের কর্পোরেট জীবন এখন ওয়াড্রোবে আরামকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেয়।” হোয়াইট হাউস ব্ল্যাক মার্কেটের ডিজাইন এবং মার্চেন্ডাইজিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্স্টেন বোয়েন বলেছেন, “কেনাকাটার প্রবণতা দেখায় যে গ্রাহকরা আবার নিজেদের আরাম আর কাজের ক্ষেত্রকে একসঙ্গে মিলিয়ে নিতে চান।”
রালফ লরেনের প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিস লুভেট একটা পোস্ট-ইনকাম কলে যোগ করেছেন, “পুরুষ ক্রেতারাও পোলো শার্ট, স্পোর্ট কোট, ট্রাউজার্স, ডেনিম এবং জুতোর কেনাকাটায় অংশগ্রহণ করছেন।”
এনপিডি গ্রুপের একটি জরিপ অনুযায়ী হাইব্রিড ওয়ার্ক মডেলগুলি অফিস ড্রেস কোডও বদলে ফেলেছে। মার্কিন ভোক্তাদের ৩৫ শতাংশের এখন কর্মক্ষেত্রে ক্যাসুয়াল ড্রেস কোড আছে।
আরও পড়ুন: মৌনি রায়কে তাঁর নতুন প্যাস্টেল ব্লু বিকিনিতে দেখে নিন