Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Swastika Mukherjee: অপরাজিতার সাজে স্বস্তিকা, মায়ের পুরনো শাড়িতেই আনলেই বনেদিয়ানার ছোঁয়া

Pujor Saaj: বিজয়লাভের সঙ্কল্প নিয়ে হয় অপরাজিতা পুজো। শোনা যায়, আগেকার দিনে নবরাত্রির পর রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। দিনটা হত বিজয়া দশমী। যুদ্ধের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিতেন রাজারা

Swastika Mukherjee: অপরাজিতার সাজে স্বস্তিকা, মায়ের পুরনো শাড়িতেই আনলেই বনেদিয়ানার ছোঁয়া
স্বস্তিকার নবমীর সাজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2023 | 3:21 PM

দেখতে দেখতে সন্ধিপুজোর সময় চলে এল। অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণে হয় সন্ধিপুজো। দুর্গাপুজোর এই চার দিনের মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল এই সন্ধিপুজো। সন্ধিপুজো শেষ হওয়া মানে নবমী তিথি পড়ে যাওয়া। নবমী তিথি আসা মানেই এবছরের মত পুজো শেষ। উমার এবার কৈলাশে ফিরে যাওয়ার পালা। নবমীর নিশি ফুরিয়ে যাক কে আর তা চায়। দুর্গার ও মহাদেবের খুব পছন্দের ফুল হল অপরাজিতা ও জবা ফুল। দুর্গা পুজোয় অপরাজিতা ফুল লাগেই। আর দশমীর দিন হয় অপরাজিতার পুজো। দশমীর দিন হয় অপরাজিতার পুজো। অপরাজিতা’ দেবী দুর্গারই অন্য রূপ। অপরাজিতার গুরুত্বও রয়েছে অনেকরকম। বাড়িতে একটা নীল অপরাজিতার গাছ থাকা খুবই শুভ

অপরাজিতা ফুল স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী। নিয়মিত ভাবে অপরাজিতা ফুলের চা খেলে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ইদানিং কালে এই চা বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে। আর এই অপরাজিতা ফুল দিয়ে সুন্দর করে স্টাইলও করা যায়। ঠিক যেমনটা করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অফ হোয়াইট আর সবুজ কম্বিনেশনে একটি তাঁতের শাড়ি পরেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বলাই বাহুল্য বন্ধু পরমার কালেকশন থেকে। এই শাড়ির সঙ্গে মানানসই সবুজ রঙের কটকির একটি ব্লাউজ পরেছেন। চুলে জড়িয়েছেন নীল অপরাজিতার মালা। হাতে সবুজ কাঁচের চুড়ি। টায়রা-টিকলি,  নোসপিন আর সিঁদুরের টিপে খুব  সুন্দর দেখতে লাগছে স্বস্তিকাকে। বরাবরই অন্যরকম সাজে সাজতে ভালবাসেন স্বস্তিকা। সেই সঙ্গে নিজেকে নিয়ে অনেক রকম এক্সপেরিমেন্টও থাকে। আর স্বস্তিকাকে সব সাজেই অসম্ভব সুন্দর লাগে। এখানেও তাঁকে লাগছে ঠিক দেবী অপরাজিতার মতই। পুজোর দিনে অনেকেই খোঁপা করেন। সকালের দিকে সাজে খোঁপায় অপরাজিতার মালা জড়িয়ে নিতে পারেন আপনিও। দেখতে লাগবে স্নিগ্ধ, সুন্দর।

বিজয়লাভের সঙ্কল্প নিয়ে হয় অপরাজিতা পুজো। শোনা যায়, আগেকার দিনে নবরাত্রির পর রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। দিনটা হত বিজয়া দশমী। যুদ্ধের জন্য এই সময়টাকেই বেছে নিতেন রাজারা। তার অবশ্য কিছু কারণ ছিল। প্রথমত, চাণক্য বা কৌটিল্য তাঁর ‘অর্থশাস্ত্র’ অনুযায়ী এই সময়টাই যুদ্ধযাত্রার শ্রেষ্ঠ সময়। পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থেও একই কথা বলেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজা যদি দশমীর পর যাত্রার সূচনা করেন, তাহলে তার জয় হয় না। তাই যুদ্ধে অপরাজেয় থাকতে এদিন যাত্রা করতেন রাজারা। আর বিজয়লক্ষীকে বরণের প্রত্যাশা নিয়েই করা হত অপরাজিতা পুজো। যে ধারা আজও বর্তমান।