Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

চিয়া সিড নাকি ফ্ল্যাক্স সিড, চটজলদি ওজন কমাতে কোন বীজ কতটা পরিমাণে খাবেন?

Weight Loss Tips: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চললেই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু এই ব্যালেন্স ডায়েটের মধ্যে সঠিক খাবার রাখা দরকার। তাজা সবজি ও ফলের সঙ্গে মাছ-মাংস রাখুন। ড্রাই ফ্রুটসও ওজন কমায়। তার সঙ্গে রাখুন বীজ। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিড সবচেয়ে বেশি উপকারী।

চিয়া সিড নাকি ফ্ল্যাক্স সিড, চটজলদি ওজন কমাতে কোন বীজ কতটা পরিমাণে খাবেন?
Follow Us:
| Updated on: Jan 17, 2024 | 1:28 PM

ওজন কমানোর জন্য শুধু ব্যায়ামই যথেষ্ট নয়। সঠিক ডায়েট মেনে চলা দরকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চললেই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু এই ব্যালেন্স ডায়েটের মধ্যে সঠিক খাবার রাখা দরকার। তাজা সবজি ও ফলের সঙ্গে মাছ-মাংস রাখুন। ড্রাই ফ্রুটসও ওজন কমায়। তার সঙ্গে রাখুন বীজ। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিড সবচেয়ে বেশি উপকারী। কিন্তু একসঙ্গে দুটো বীজ খাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আপনি চিয়া সিড খাবেন নাকি ফ্ল্যাক্স সিড? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ফ্ল্যাক্স সিডের স্বাস্থ্য উপকারিতা-

ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই পুষ্টি শারীরিক প্রদাহ কমাতে এবং অক্সিডেটিভ চাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী ফ্ল্যাক্স সিড। এতে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে, যা পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে। এছাড়া এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও রয়েছে। ফ্ল্যাক্স সিড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায় ফ্ল্যাক্স সিড।

চিয়া সিডের স্বাস্থ্য উপকারিতা-

চিয়া সিডের মধ্যে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে শারীরিক প্রদাহ কমায়। ফ্ল্যাক্স সিডের মতো চিয়া সিডও অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে। চিয়া সিড খেলে ত্বকের সমস্যাও কমে যায়।

ওজন কমাতে যে বীজ খাবেন-

দ্রবণীয় ফাইবার ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে বেশি। তাই ওজন কমাতে বেশি সহায়ক ফ্ল্যাক্স সিড। ফ্ল্যাক্স সিড খেলে খিদে কম পায় এবং মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। চিয়া সিডও ওজন কমায়। কিন্তু এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার জেল আকারে উৎপন্ন হয়। তাই এই বীজ কাজ করতেও একটু সময় নেয়।

চিয়া সিড হোক বা ফ্ল্যাক্স সিড কোনওটাই কাঁচা খাবেন না। জলে বা দুধে ভিজিয়ে চিয়া সিড খান। ফ্ল্যাক্স সিডও জলে ভিজিয়ে কিংবা স্মুদির সঙ্গে পেস্ট করে খেতে পারেন। ওজন কমাতে আপনি প্রতিদিন ২ চামচ করে ফ্ল্যাক্স সিড খেতে থাকে। চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জল খেলে দেহে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে ওজন কমার পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমে।