চা-শিঙাড়া-জিলিপি, এমনকি ডাল-ভাত-শুক্তো… কিছুই নাকি ভারতীয় খাবার নয়! তাহলে এদের উৎস কোথায়?
ভারতীয়দের জিভে জল আনে এমন বিখ্যাত সব খাবার কিন্তু আদপেও এদেশের নয়। সবই আমদানি হয়েছে অন্যান্য দেশ থেকে।
চায়ের আড্ডা হোক বা সন্ধের স্ন্যাকস, শিঙাড়া শুনলে জিভে জল আসে না এমন ভারতীয় বোধহয় ভূ-ভারতে নেহাতই হাতেগোনা। এখানেই শেষ নয়, বিয়েবাড়িতে শেষপাতে গরম গরম গুলাবজামুন, আহা শুনলেই মন ভাল হয়ে যায়। তবে ভারতীয়দের জিভে জল আনে এমন বিখ্যাত সব খাবার কিন্তু আদপেও এদেশের নয়। সবই আমদানি হয়েছে অন্যান্য দেশ থেকে।
চলুন দেখে নিই এমন কী কী খাবার রয়েছে যা আসলে ভারতীয়দের দারুণ পছন্দ হলেও, আমদানি হয়েছে বিদেশ থেকে…
চা-শিঙাড়া- মুচমুচে গরম গরম শিঙাড়ার স্বাদই আলাদা। সঙ্গে যদি থাকে এক পেয়ালা গরম চা, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু ‘সোনে পে সুহাগা’ এই কম্বিনেশনের দু’টি খাবারেরই আমদানি হয়েছে বিদেশ থেকে। চিন থেকে ভারতে এসেছে চায়ের চল। আর শিঙাড়া আসলে মধ্য-প্রাচ্যের খাবার। মাংসের পুর ভরা শিঙাড়া ওখানে দারুণ জনপ্রিয়। কামড় দিলেই মুখে পড়বে বাদাম। আর চায়ের চাষ যে প্রথম চিনে শুরু হয়েছিল একথা জানেন অনেকেই।
গুলাবজামুন- পারস্য এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে ভারতে এসেছে এই মিষ্টি। ওখানে এই মিষ্টি ‘লোকমা’ নামে পরিচিত।
শুক্তো- বাঙালির বড় প্রিয় পদ এই শুক্তো। গরমের দিনে পৈতে বাড়ির নিমন্ত্রণ হোক বা এমনি সাধারণ বাঙালি বাড়ি, বড়ি দিয়ে শুক্তো পাতে পড়বেই। তবে এই খাবার না তো বাঙালির, না ভারতের। সুদূর পর্তুগাল থেকে গোয়া হয়ে তবে বাংলায় এসেছে এই রান্না।
জিলিপি- আপনার-আমার সাধের জিলিপিও নাকি ভারতের নয়। মধ্য প্রাচ্য এবং আরব থেকে এদেশে আমদানি হয়েছে এই মিষ্টির।
রাজমা-চাউল- ভারতীয়দের ঘরে ঘরে এই রান্নার প্রচলন রয়েছে। তবে রাজমার আগমন মেক্সিকো এবং গুয়াতেমালা থেকে।
ডাল-ভাত- এই খাবারও ভারতীয়দের নয়। প্রতিবেশি দেশ নেপালের এই পদকেই আপন করে নিয়েছি আমরা।
ইডলি- দক্ষিণী খাবার ইডলির আগমন হয়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকে। তাও আবার সরাসরি নয়। ইন্দোনেশিয়া থেকে আরব হয়ে ইডলি এসেছে ভারতে।
নান- তুলতুলে নরম বাটার নান হোক বা তন্দুরি নান, এতেও অধিকার পারস্যের। আদতে এটি পার্সিয়ান খাবার।