Bengali Style Fish Curry: আলু -পেঁয়াজকলি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ট্যাংরা মাছের টাটকা ঝোল, জমে যাবে শীতকালের ভোজ
Fish Curry Recipe: সরষের তেলে টাটকা মাছের ঝোল বানিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে মেখে খান। খেতে যেমন দুর্দান্ত লাগবে তেমনই শরীরও থাকবে ভাল
শীতকাল মানেই বাজারে হরেক সবজির মেলা। মিষ্টি আলু, পেঁয়াজকলি, শিম, গাজর, বিট, মূলো, পালং, সরষে শাক, কড়াইশুঁটি , বেগুন আরও কত কিছু। শীতের বাজার মানেই টাটকা সবজিতে ভরপুর। সেই সঙ্গে তালিকায় রঙিন সবজি থাকে সবচাইতে বেশি। শীতের সবজির স্বাদই হয় অন্যরকম। যাঁরা খেতে ভালবাসেন, যাঁরা বাজার করতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য শীতকালের মত এত ভাল সময় আর হয় না। আলু, বেগুন, বড়ি, শিম বা ফুলকপি দিয়ে টাটকা মাছের ঝোল বানালে খেতে দারুণ লাগে। বিশেষত গরম ভাতে। সামান্য মশলা দিয়ে কষিয়ে রান্না করলেই খেতে দারুণ লাগে। আজকাল অধিকাংশই মাছ খেতে চান না। ফলে মাছের ঝোলের এই সব ক্লাসিক রেসিপি আজকাল হারিয়ে যাচ্ছে। এই শীতে আবারও ফিরিয়ে আনুন সেই স্বাদ। মা-দিদিমাদের হেঁশেলের সেই রেসিপি মেনেই রাতে বানিয়ে নিন গরম মাছের ঝোল। রাতে বাড়ি ফিরে গরম ভাতের সঙ্গে জমে যাবে।
এই মাছের ঝোল বানাতে যা কিছু লাগছে
ট্যাংরা মাছ ( ছোট সাইজ হলেই ভাল)
পেঁয়াজ কলি
আলু
টমেটো
জিরে গুঁড়ো
আদা রসুন বাটা
পেঁয়াজ কুচি
কালোজিরে
কাঁচালঙ্কা
হলুদ
সরষের তেল
ধনেপাতা কুচি
যেভাবে বানাবেন
ট্যাংরা মাছ বাজার থেকে এনে ভাল করে ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে নিন। এবার আলু, পেঁয়াজকলি, টমেটো লম্বা করে কেটে রাখুন। পেঁয়াজ স্লাইস করে কেটে নিন। ট্যাংরা মাছ ভাজতে গেলে ফেটে যায়। আর তাই ভাজার সময় ঢাকা দিয়ে ভাজুন। এবার মাছ তুলে নিয়ে ওর মধ্যে কালোজিরে দিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এরপর আলুর টুকরো দিন। স্বাদমতো নুন, হলুদ, চিনি, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিয়ে পেঁয়াজকলি দিয়ে দিন। এবার গরম জল দিন। ফুটে উঠলে মাছ দিয়ে দিন। এবার বেশ মাখা মাখা হয়ে এলে গ্যাস অফ করে দিন। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। গরম ভাতের সঙ্গে দারুণ জমবে।