পেঁয়াজ-রসুনের মশলাদার চাটনি, বাড়িতে বানিয়ে রেখে দেওয়া যায় এক বছর!

এয়ার-টাইট অর্থাৎ হাওয়া ঢুকতে পারবে না এরকম মুখ বন্ধ কোনও কৌটোতে এই চাটনি তুলে রাখুন। তাহলের দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

পেঁয়াজ-রসুনের মশলাদার চাটনি, বাড়িতে বানিয়ে রেখে দেওয়া যায় এক বছর!
আট থেকে আশি, চাটনি কিংবা আচারের নাম শুনলে জিভে জল আসে সকলেরই।
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2021 | 7:27 PM

প্রতিদিন নিত্য-নতুন খাবারের পদ বানানো একপ্রকার অসম্ভব। এদিকে সাধারণ মেনু রোজ খেতেও ভাল লাগে না। কিন্তু একদম সাধারণ খাবারের সঙ্গেই পাতে যদি পড়ে একটু চাটনি বা আচার, তাহলে ব্যাপারটা জমে যায়। আট থেকে আশি, চাটনি কিংবা আচারের নাম শুনলে জিভে জল আসে সকলেরই। টক-মিষ্টি কিংবা ঝালঝাল আচার দিয়ে আনায়াসে খেয়ে নেওয়া যায় অনেক সাদামাঠা পদ।

তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন পেঁয়াজ-রসুনের মশলাদার চাটনি। এক বছর পর্যন্ত স্টোর করে রাখা যায় এই চাটনি। জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন এবং কীভাবেই বা সংরক্ষণ করবেন—

প্রথমে পেঁয়াজগুলো জলে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভাল করে জল ঝরিয়ে কুচি করে কেটে নিন। এরপর চাটনির মশলা তৈরি করতে হবে। ধনে, জিরে, মেথি এবং মৌরি শুকনো খোলায় অর্থাৎ একটি পাত্রে রোস্ট করে নিন। এর ফলে মশলায় থাকা আর্দ্রতা চলে যায় এবং চাটনি অনেকদিন রেখে দেওয়া যায়।

আরও পড়ুন- ডালগোনার দিন শেষ, বাজারে এল ‘প্রোফি’, কীভাবে বানাবেন?

ওই মশলাগুলো মিনিট দুয়েক ভাজার পর সামান্য হিং- এর গুঁড়ো দিন। এরপর মশলার গুঁড়ো ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। ভাজার সময় সব মশলা গোটা অবস্থায় দেবেন। ভাজা মশলা ঠান্ডা হয়ে গেলে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন।

এরপর কড়াইতে তেল গরম করে কুচি করে কাটা পেঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে দিন। খুব বেশি আঁচ বাড়াবেন না, মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ এবং রসুন ভেজে নরম করে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। দুটোই নরম হয়ে গেলে একটা শুকনো লঙ্কা দিন। পেঁয়াজ-রসুনের সঙ্গে ওই লঙ্কা ভেজে নিন ভাল করে। আলাদা করেও শুকনো লঙ্কা রোস্ট করে তারপর গুঁড়ো করে রাখুন।

যে কড়াইতে পেঁয়াজ-রসুন ভেজেছেন, সেখানেই সামান্য সরষে আর কালোজিরে ফোড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজ-রসুনের মিশ্রণ এবং মশলাগুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সব উপাদান একসঙ্গে মিশে গেলে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, আমচুর পাউডার দিয়ে আবারও ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে দিন সব মশলা। অল্প আঁচে মিনিট পাঁচেক ভাল করে নেড়ে নিলেই তৈরি আপনার মশলাদার পেঁয়াজ-রসুনের চাটনি বা আচার।

এয়ার-টাইট অর্থাৎ হাওয়া ঢুকতে পারবে না এরকম মুখ বন্ধ কোনও কৌটোতে এই চাটনি তুলে রাখুন। রুটি কিংবা পরোটা অথবা ভাত পাতেও খেতে চমৎকার লাগে এই চাটনি-আচার।