Bonder Payesh: চাল নয় লক্ষ্মীপুজোয় বানিয়ে নিন স্পেশ্যাল এই পায়েস, রইল রেসিপি
Maa Lakshmi Bhog: বোঁদে এভাবে ভেজে এয়ার টাইট কন্টেনারে রেখে দিতে পারেন। এবার হাফ কাপ চিনি, তেজপাতা মিশিয়ে নিতে হবে দুধের মধ্যে। এরপর এককাপ বোঁদে মিশিয়ে দিতে হবে দুধের মধ্যে। অতিরিক্ত বোঁদে দেবেন না, এতে তা শক্ত হয়ে যাবে
লক্ষ্মীপুজো মানেই বাড়িতে বেশ জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া হয়। এই লক্ষ্মীপুজোর মুখ্য আকর্ষণই হল ভোগ। আর লক্ষ্মীপুজোর ভোগও খুব আকর্ষণীয়। লুচি, পায়েস, পিঠে, নাড়ু, তিলের নাড়ু, মোয়া, খই, মুড়কি, বাতাসা, চিঁড়ে মাখা, খিচুড়ি, পায়েস, চাটনি, পাঁচ রকম ভাজা-আরও কত কিছু। ঘর সুন্দর করে পরিষ্কার করে গুছিয়ে আলপনা এঁকে তবেই হয় লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। পুজো মানেই পরিচ্ছন্নতা। বাড়ি সুন্দর করে পরিষ্কার করে, সাজিয়ে, ধুপ-ধুনো দেওয়ার মধ্যে মনে একরকম শান্তি থাকে। ধন-সমৃদ্ধির কামনা করে অধিকাংশ মানুষই লক্ষ্মীর আরাধনা করেন, যার যেমন সামর্থ্য সেই মত আয়োজন করেন। মন থেকে যে ভাবে পুজো করা হোক না কেন ভগবান তাতেই প্রসন্ন হন। হেঁশেলে লক্ষ্মীর বাস। আর তাই অনেকেই চান এদিন নিজের হাতে ভোগ রান্না করে ঠাকুরকে নিবেদন করতে।
লক্ষ্মী পুজোয় অনেকেই অন্ন ভোগ করেন না বাড়িতে। লুচি, হালুয়া, পায়েস এসবই থাকে ভোগে। সেক্ষেত্রে চালের পায়েস না বানিয়ে এভাবে বোঁদের পায়েস বানিয়ে নিন। এতে খেতেও লাগবে বেশ। আর বানিয়ে ফেলা সহজ।
একটা বাটিতে এক কাপ বেসন নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ ঘি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার ৩ কাপ জল দিয়ে একটা ব্যাটার বানিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে আরও এক কাপ জল দিতে পারেন। কড়াইতে ২ চামচ ঘি দিয়ে হাফ লিটার দুধ দিয়ে গরম করতে দিন। বেসনের মধ্যে একটু খাবার সোজা মিশিয়ে নিন। ঝাঁঝরির সাহায্যে তেলে গরম গরম বোঁদে ভেজে নিতে হবে। বোঁদে এভাবে ভেজে এয়ার টাইট কন্টেনারে রেখে দিতে পারেন। এবার হাফ কাপ চিনি, তেজপাতা মিশিয়ে নিতে হবে দুধের মধ্যে। এরপর এককাপ বোঁদে মিশিয়ে দিতে হবে দুধের মধ্যে। অতিরিক্ত বোঁদে দেবেন না, এতে তা শক্ত হয়ে যাবে। দু মিনিট ফুটিয়ে গ্যাস অফ করে মিশিয়ে দিন ছোট এলাচের গুঁড়ো। দুধ ঘন আর মিষ্টি করতে চাইলে কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। পরিবেশন করার আগে বড় দু চামচ মিষ্চি বোঁদে মেশান। আর বোঁদে দেওয়ার আগে দুধে কাজু, কিশমিশ মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। এই পায়েস খেতে খুবই ভাল হয় আর তা লুচির সঙ্গে পরিবেশন করুন ঠাকুরের ভোগে।