Rice vs Roti: ভাত না রুটি, ওজন কমানোর জন্য ডিনারে কাকে এগিয়ে রাখবেন?

Weight Loss: যখন ডায়েট অনুসরণ করেন, সবার আগে মাথায় আসে একটাই প্রশ্ন: ভাত খাবেন নাকি রুটি! ভারতীয় থালিতে ভাত ও রুটি দুটোই প্রধান উপাদান।

Rice vs Roti: ভাত না রুটি, ওজন কমানোর জন্য ডিনারে কাকে এগিয়ে রাখবেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 6:03 PM

ওজন কমানোর (Weight Loss) জন্য সবাই ডায়েট (Diet Tips) মেনে চলেন। ডায়েট আর ব্যায়াম ছাড়া কোনও ভাবেই ওজন কমানো যায় না। কিন্তু যখন ডায়েট অনুসরণ করেন, সবার আগে মাথায় আসে একটাই প্রশ্ন: ভাত খাবেন নাকি রুটি! ভারতীয় থালিতে ভাত ও রুটি দুটোই প্রধান উপাদান। পুষ্টিবিদদের মতে, ভারতীয় থালি (Indian Thali) শরীরের সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু যখন প্রসঙ্গ আসে ওজন কমানোর, তখন অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না কী খাবেন আর কোনটা বাদ দেবেন।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়, তা হল কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা। এই ক্ষেত্রে ভাত ও রুটির মধ্যে যে বিশেষ কোনও পার্থক্য রয়েছে তা নয়। কিন্তু পুষ্টির দিকে তাকালে দেখা যাবে, দুটো খাদ্য পণ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ ভিন্ন। ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ নগণ্য হলেও রুটিতে সোডিয়ামের পরিমাণ একটু বেশি। ১২০ গ্রাম রুটিতে ১৯০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। তবে এই সোডিয়ামে গ্রহণে কোনও সমস্যা নেই, যতক্ষণ না পর্যন্ত চিকিৎসকেরা আপনাকে সোডিয়াম গ্রহণে কোনও পরামর্শ দিচ্ছেন।

তবে ওজন কমাতে গেলে ফাইবার, প্রোটিন ও ফ্যাট জরুরি। ফাইবার হচ্ছে এমন একটি পুষ্টি যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর থেকে মল সহজেই বেরিয়ে গেলে বদহজমের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। এতে বিপাকীয় হার বৃদ্ধি পায়। ফাইবারের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে ভাতে ডায়েটারি ফাইবারের পরিমাণ কম। এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। অন্যদিকে, রুটিতে ভাল পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে রাতে অবশ্যই রুটি খাবেন।

কিন্তু যদি বদহজমের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই রাতে ভাত খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ভাতের মধ্যে স্টার্চের পরিমাণ বেশি তা এটি দ্রুত হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও ভাতে উচ্চ পরিমাণে ফোলেট রয়েছে। এটি একটি জল-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

অন্যদিকে, রুটির গুণাগুণ বিবেচনা করলে এটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এছাড়াও এটি আপনাকে দীর্ঘক্ষণ তৃপ্ত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রুটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং সোডিয়াম রয়েছে এবং এটি ভাতের মতো দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।

সুতরাং আপনার স্বাস্থ্য অবস্থার উপর নির্ভর করে আপনি রাতে কোন খাবারকে বেছে নেবেন। যদি রুটি খান, তাহলে ময়দার রুটি একদমই খাবেন না। মধ্যবিত্ত বাড়িতে যদিও আটার রুটিই বেশি হয়। তবুও ওজন কমাতে চাইলে এবং সুস্থ থাকতে চাইলে জোয়ার, বাজরার রুটি খেতে পারেন। দুটো রুটির সঙ্গে এক বাটি সবজির তরকারি অবশ্যই রাখবেন। এমন সবজি বেছে নেবেন যাতে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং যাতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি।

রাতে যদি ভাত খাওয়া পরিকল্পনা করেন তাহলে ভাতের সঙ্গে সব সময় হালকা খাবার খাবেন। ভাতের সঙ্গে ডাল ও একবাটি সবজির তরকারি খেলেই যথেষ্ট। আপনি চাইলে খিচুড়ি বানিয়েও খেতে পারেন। কিন্তু বাজারে যে সাদা চাল পাওয়া যায় তা অত্যন্ত পলিশড, যার কারণে এটির বেশিরভাগ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভাত খেতে চাইলে ব্রাউন রাইস বেছে নেওয়াই ভাল।