শীতের মরশুমে মিষ্টিমুখ হোক গাজরের হালুয়ায়, রয়েছে অনেক খাদ্যগুণও
গাজরে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা সংক্রমণের সঙ্গে আমাদের লড়তে সাহায্য করে।
শীতের মরশুমে পিঠে-পুলি-পায়েসের সঙ্গে ডেজার্টের মেনুতে অবশ্যই জায়গা করে নেয় গাজরের হালুয়া। আজকাল অবশ্য প্রায় সারা বছরই গাজর পাওয়া যায় বাজারে। তবু শীতের দিনে একটু গাজরের হালুয়া না খেলে কী চলে। অনেকে অবশ্য ডায়েটের কথা ভেবে এমন লোভনীয় পদ একেবারেই বাদ দিয়ে দেন। তবে গাজরের হালুয়াতে রয়েছে অনেক গুণ। তাই এই শীতে একবার অন্তত চেখেই দেখুন ‘গাজর কা হালওয়া’।
গাজরের খাদ্যগুণ- হালুয়ার মূল উপাদান গাজরের রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। শীতকালে আমদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য মরশুমের তুলনায় কিছুটা কম থাকে। একে তো ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে সর্দি-কাশি এড়াতে বাড়ির বাইরে বেশি যাওয়া যায় না। ফলে সূর্যের আলো সেভাবে না পাওয়ায় ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে। এক্ষেত্রে গাজরে থাকা ভিটামিন এ (বিটা ক্যারোটিন ফর্মে থাকে) আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও গাজরে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা সংক্রমণের সঙ্গে আমাদের লড়তে সাহায্য করে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা সুদৃঢ় করে- গাজরের হালুয়া বানাতে লাগে দুধ। এই দুধে থাকে ভিটামিন ডি, প্রোবায়োটিকস এবং ইমিউনোগ্লুকোবিন। এছাড়াও মশলা হিসেবে ব্যবহার হয় দারচিনি। সেখানে থাকে ভিটামিন সি যা সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। গাজরের হালুয়াতে ব্যবহার করা হয় বাদাম বা আমন্ড। এর মধ্যে থাকে ভিটামিন ই।
ওজন কমায়- অনেকেরই ধারনা গাজরের হালুয়া খেলেই মোটা হয়ে যাবেন। কিন্তু আসলে গাজর তন্তু জাতীয় খাবার (fibrous roots)। যেটা হজম হতে অনেকক্ষণ সময় নেয়। ফলে ঘনঘন খিদে পাবে না আপনার। ফলে বেশি খাওয়ার কারণে অতিরিক্ত মেদও জমবে না। এছাড়া গাজর খেলে হার্ট অ্যাটাকের রিস্ক কমানো যায়। ঠিক থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায়- শীতের রুক্ষ-শুষ্ক আবহাওয়া এমনিতেই ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। তবে গাজরে থাকা ভিটামিন এ (বিটা ক্যারোটিন ফর্মে থাকে) ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান- গাজরে থাকে চার রকমের ফটোকেমিক্যাল। carotenoids, phenolics, polyacetylenes ও ascorbic acid, এই চারটি উপাদান ক্যানসার এবং টিউমার হওয়ার প্রবণতা কমায়। কারণ এর মধ্যে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। গাজরে থাকা এই চারটি ফটোকেমিক্যাল অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক।