স্বাস্থ্য মেনে স্বাদ বদল, জলখাবারে থাকুক এইসব পদ
অনায়াসেই বানিয়ে ফেলা যায় এইসব জলখাবারের পদ। সময় লাগে কম। ক্যালোরি বা ফ্যাটও থাকে কম। তবে সব খাবারই বেশ সুস্বাদু।
আজকাল প্রায় সকলেই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন। আর যাঁরা ডায়েট করেন, তাঁরা চেষ্টা করেন দিনে শুরুতে একটা হেলদি ব্রেকফাস্ট বা স্বাস্থ্যসম্মত জলখাবার খাওয়ার। কিন্তু রোজ রোজ দুধ-কর্নফ্লেক্স বা ওটস খেতে কারই বা আর ভাল লাগে। তাই স্বাস্থ্য মেনে স্বাদ বদলের জন্য রইল বেশ কিছু ব্রেকফাস্ট পদের রেসিপি। অনায়াসেই বানিয়ে ফেলা যায় এইসব জলখাবারের পদ। সময় লাগে কম। ক্যালোরি বা ফ্যাটও থাকে কম। তবে সব খাবারই বেশ সুস্বাদু।
১। ধোসা বা ইডলি- জলখাবারের মেনুতে ধোসা বা ইডলি রাখা যেতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে প্লেন ধোসা খাওয়াই ভাল। মশলা ধোসায় থাকা পুর অনেক সময় অম্বলের সমস্যা করতে পারে। সুজি দিয়ে বানানো ধোসা বা রারা ধোসাও খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে। অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এই ধোসা। যাঁরা ইডলি খেতে পছন্দ করেন তাঁরা জলখাবারের মেনুতে রাখুন ইডলি আর সাম্বার। মূলত দক্ষিণী খাবার প্রেমীরা অনেকেই জলখাবারে ধোসা-ইডলি খেয়ে থাকেন।
২। মশলা ওটস- দুধ দিয়ে ওটস খেতে প্রিতিদিন ভাল না লাগতেও পারে। সেক্ষেত্রে মশলা ওটস খাওয়া যায়। সামান্য সবজি দিয়ে বানানো এই ওটস খেতেও বেশ সুস্বাদু। আর যাঁরা দুধ দিয়েই ওটস খেতে চান, তাঁরা স্বাদ বদলের জন্য ড্রাই ফ্রুটস যেমন- কিসমিস, কাজু, আমন্ড, খেজুর—- এসব মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩। স্যান্ডউইচ- যেকোনও ধরণের স্যান্ডউইচ বানানোই সহজ। তবে অবশ্যই পাউরুটি সেঁকে নেবেন। কাঁচা পাউরুটি দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ খেলে নানা রকম শারীরিক অসুবিধা হতে পারে।
৪। ওটস অমলেট- দুটো ডিমের সঙ্গে কিছুটা ওটস মিশিয়ে অমলেট বানিয়ে নিতে পারেন। জলখাবারে এই পদ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এই অমলেট বানানোর সময় কুচি করে কাটা লঙ্কা-পেঁয়াজ-টম্যাটো মিশিয়ে নিতে পারেন। দিতে পারেন সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো।
৫। সুজি- নোনতা হোক বা মিষ্টি, সব রকমের সুজিই ব্রেকফাস্টের জন্য ভাল পদ। নোনতা সুজির ক্ষেত্রে এই শীতের মরশুমে গাজর, মটরশুঁটি, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, বিনস দিতে পারেন। আর মিষ্টি সুজি বানানর ক্ষেত্রে দুধ দিয়ে সুজি বানান। সুগন্ধের জন্য দিন সামান্য এলাচ।
৬। চিড়ের পোলাও- চিড়ের পোলাও বা পোহাও ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন। স্বাদ বদলের জন্য উপরে ছড়িয়ে দিন বাদাম। শীতের মরশুমের সবজিও মেশাতে পারেন চিড়ের পোলাও বা পোহাতে।
৭। রুটি রোল- প্রতিদিন জলখাবারে রুটি-তরকারি অনেকেরই না-পসন্দ। তবে এই রুটি-তরকারিকেই একটু অন্যরকম বানানো যায়। রুটির মাঝখানে তরকারি (এক্ষেত্রে ভাজা জাতীয় কিছু হলে ভাল) দিয়ে তার মধ্যে সামান্য সস বা মেয়োনিজ দিয়ে রোল বানিয়ে খেতে পারেন। তরকারির বদলে ডিম দিয়েও এই রোল বানানো যায়। সেক্ষেত্রে সামান্য পেঁয়াজ আর লঙ্কা কুচিও দিতে পারেন। একই জিনিস পরোটার সঙ্গেও করা যায়।
এছাড়াও চা-কফি, ফলের রস বা ফল খাওয়া যেতে পারে জলখাবারে।