সরস্বতী পুজোতে কেন গায়ে হলুদ মেখে স্নান করতে হয় জানেন?
যতই ঠান্ডা লাগুক না কেন, বাটিতে সরষের তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মেশানো হলুদ মেখে স্নান করা মাস্ট। এই নিয়মের পিছনে শুধু ধর্মীয় রীতি নয়, রয়েছে আরও এক কারণ। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে সুস্থ থাকার।

ছোটবেলা থেকেই প্রায় সকলেই নিয়ম মেনে, সরস্বতী পুজোর সকালে গায়ে হলুদ মেখে স্নান করে থাকেন। যতই ঠান্ডা লাগুক না কেন, বাটিতে সরষের তেলের সঙ্গে মেশানো হলুদ মেখে স্নান করা মাস্ট। এই নিয়মের পিছনে শুধু ধর্মীয় রীতি নয়, রয়েছে আরও এক কারণ। যার সঙ্গে যোগ রয়েছে সুস্থ থাকার।
হলুদ যে রূপচর্চার জন্য দারুণ এক কার্যকরী উপাদান, তা মোটামুটি সবাই জানেন। অতি প্রাচীনকাল থেকেই রূপটানে হলুদের ব্যবহার হয়ে থাকে। শোনা যায়, প্রাচীনকালের মহিলারা ত্বকের যে কোনও সমস্যার জন্যই ব্যবহার করতেন হলুদ। এমনকী, হলুদ জলে গুলে, সেই জল দিয়েই স্নান করতেন অনেকে। কথিত রয়েছে সুন্দরী ক্লিওপেট্রার রূপরহস্যই হল দুধ ও হলুদের মিশ্রণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ব্রণ কমাতে দারুণ সাহায্য করে হলুদ। শুধু তাই নয়, রোদে পোড়া ত্বককে ঝকঝকে করতেও দারুণ কাজ দেয় হলুদ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও দুই ঋতুর সন্ধিক্ষণে ব্যাকটেরিয়া আরও সজাগ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে শীত থেকে গরমে পা দেওয়ার সময় ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে হলুদেই। সেই কারণেই সরস্বতী পুজোর সকালে হলুদ মেখে স্নান করার নিয়ম।
তবে শুধু এই কারণই নয়। সরস্বতী পুজোকে বলা হয় বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। এদিন নতুন প্রেমের শুরু বা পুরনো প্রেমকে নতুন করে নেওয়ার সুযোগ আসে প্রচুর। তাই এই দিনটাতে নিজেকে সুন্দর করে তুলতেও সাহায্য করে হলুদ। তাই যতই শীত লাগুক না কেন, সকাল সকাল গায়ে হলুদ করেই নিন।





