সাজে আনুন মুঘল ছোঁয়া! কানে চাঁদবালি, চুলে খোঁপা আর বেনারসি শাড়ি…
বলিউডে যা ট্রেন্ড তাই ফ্যাশান। ট্র্যাডিশনাল আউটফিটের সঙ্গে চাঁদবালি যে মানানসই, তা সব ডিজাইনাররাই প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাই যে কোনও অনুষ্ঠানে, পার্টিতে কিংবা অফিসের কাজেও হালকা ও ভারী এই মোঘল অলংকারে নিজেকে সাজাতে পারেন। বিয়ের কনে হিসেবেও এই ধরণের জুয়েলারি অত্যন্ত ফ্যাশানেবল।
মুঘল যুগ থেকে চাঁদবালির জনপ্রিয়তা শুরু। আজকের ফ্যাশানেও চাঁদবালি কানের দুলের কদর একচুলও কমেনি। ইতিহাস অনুসারে বলা যেতে পারে, জয়ী মুঘলরা জয়ের প্রতীক হিসেবে এই চাঁদবালি তাঁদের মুদ্রায় ছাপ রেখেছিল। সাধারণত খেলাফতের সময়কাল থেকেই এই ধরণের মুদ্রা জনপ্রিয়তা লাভ করে। তারপর থেকে ইসলামের প্রতীক হিসেবে এই চাঁদবালি প্রতিষ্ঠা পায়। পরবর্তী সময়ে সেই বিশেষ, প্রতীককে ব্যবহার করে তৈরি হল চাঁদবালির গয়না। বিশেষ করে চাঁদবালির কানের দুল এখনও সমান জনপ্রিয় দেশে-বিদেশে।
১৯ শতকের গোড়ার দিকে রাজস্থানে এই ধরণের কানের দুল প্রথম তৈরি হয়। রাজরাণী ও মুঘল বিবিদের জন্য এই বিশেষধরণের ভারী ও হিরে-দামী পাথর বসানো চাঁদবালির কানের দুল-সহ নানান অলংকার তৈরি হতে শুরু করে। হায়দরাবাদের বিখ্যাত নিজাম পরিবারের মহিলা এই ধরণের গয়না বিশেষ পছন্দ করেন। রাজকীয়, দৃষ্টিনন্দন এই জুয়েলারি এখন আধুনিক ফ্যাশান দুনিয়ায় নয়া ট্রেন্ড।
সত্তরের দশকে এই ভারী, পাথর বসানো সুন্দর কাজ করা চাঁদবালির গয়না জাস্ট উবে গিয়েছিল। শুধুমাত্র ইসলামধর্মাবলম্বীদের নিকাহের সময় এই গয়না পরার চল ছিল। পরবর্তীকালে ফের বলিউডের ফ্যাশানে বিশেষ জায়গা করে নিল চাঁদবালির সুন্দর সুন্দর জুয়েলারি। লেহেঙ্গা, শালোয়ার, বেনারসি, হালকা পোশাকের সঙ্গে ভারী চাণঁবালি এখন নয়া ট্রেন্ড। কথায় আছে, বলি সুন্দরীদের পছন্দে পথ চলে আজকের ফ্যাশান দুনিয়া।
পোশাকে তো বটেই, লুকেও যদি এলিগেন্ট লুক পেতে চান তাহলে চাঁদবালির গয়না অপরিহার্য। গলায় কোনও ভারি অলংকার নয়, কানে থাকুক পাথর বসানো সুন্দর চাঁদবালি কানের দুল। বারতীয়. ঐতিহ্যবাহী আউটফিটে তাই এই ধরণের অলংকার মানানসই। যে কোনও অনুষ্ঠানে, যে কোনও রঙের পোশাকের সঙ্গে হালকা থেকে ভারী চাঁদবালি পরতে পারেন। ক্লাসিক লুক পেতে এই ধরণের জুয়েলারি সব সময়েরই জন্য ফ্যাশানেবল। চাঁদবালির জন্য কোনও বাধাধরা বয়সের সীমারেখা নেই। মুঘল আমলের এই সবসময়ের জন্যই হিট। মিক্স ম্যাচ আউটফিট, ওয়েস্টার্ন আউট ফিটেও এই অলংকার সমান মানানসই। খাঁটি চাঁদবালি সাধারণত মীনাকারি ও বিভিন্ন রঙের পাথর কেটে একটি সুন্দর অলংকারের রূপ দেওয়া হয়। এছড়া জড়োয়া কুন্দন ও পোলকির সঙ্গে স্টাড করে এই অলংকার বানানো যায়। আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে হিরে ও রোজ গোল্ডেও এই চাঁদবালি একদম পারফেক্ট লুক আনা যায়। মহিলারা তাঁদের মুখের গঠন, চেহারা অনুযায়ী ও আউটফিটের সঙ্গে মানানাসই অলংকার পরতে বেশি পছন্দ করেন। তার জন্য চাঁদবালির যেকোনও মাপের কানের দুল, গলার হার অনবদ্য।