কিশমিশ-খেজুর মেশানো দই, হাজার গুণ সমৃদ্ধ এই খাবার অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য খুবই উপকারী
ঘরে যে সাধারণ উপায়ে দই পাতা হয়, সেই ভাবেই এই দই তৈরি করা যায়। আলাদা করে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা খরচের প্রয়োজন নেই।
দই খাওয়ার যে হাজার উপকারিতা রয়েছে সেকথা তো সকলেই জানেন। যাঁরা স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক তাঁদের প্রতিদিনের মেনুতে অবশ্যই থাকে টক দই। আর এই দই যদি ঘরে পাতা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। নিউট্রিশনিস্ট হোক বা ডায়েটেশিয়ান, সকলেই বলেন রোজের খাবারে দই রাখতে। তবে প্রতিদিন শুধু টক দই খেতে অনেকসময় বিরক্ত বা একেঘেয়ে লাগতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে কিশমিশ দিয়েও দই পাততে পারেন। ঘরে যে সাধারণ উপায়ে দই পাতা হয়, সেই ভাবেই এই দই তৈরি করা যায়। আলাদা করে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা খরচের প্রয়োজন নেই।
মূলত দই বা টক দই আমাদের নানা শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যেমন- ১। অতিরিক্ত মেদ ঝরায়, ২। কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে, ৩। রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও পুষ্টিগত দিক দিয়ে দুগ্ধজাত এই খাবার খুবই উপকারি। যাঁরা দুধ খেতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে দই খাওয়া বেশ সহজ। এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় না। বিশেষ করে মহিলাদের প্রতিদিনের মেনুতে দই থাকা খুবই জরুরি।
কীভাবে তৈরি করবেন কিশমিশ দই?
প্রথমে একটি বাটিতে গরম দুধ নিন। এক্ষেত্রে ফ্যাট ফ্রি দুধ নেবেন না। আর দুধ যেন তাজা বা ফ্রেশ হয়, সেদিকে নজর রাখবেন। এবার তার মধ্যে দিয়ে দিন চার থেকে পাঁচটি কিশমিশ। ব্ল্যাক রেইজিন বা কালো কিশমিশ দিতে পারলে খুবই ভাল। এরপর সামান্য দই কিংবা বাটারমিল্ক ওই দুধ-কিশমিশের মিশ্রণে দিয়ে দিন। ঠিক যেভাবে টক দই পাতার সময় কাচের বাটির সারা গায়ে অল্প দই মাখিয়ে, তারপর দুধ ঢালা হয়, এক্ষেত্রে তেমনটাও করা যেতে পারে। অথবা ওই সাঁচ বা ছাঁচ হিসেবে সামান্য দই বা বাটারমিল্ক মিশ্রনে মিশিয়ে দিলেও হবে।
এবার খানিকক্ষণ ওই মিশ্রণ ভাল করে নেড়ে সব উপাদান একসঙ্গে আরও ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ওই বাটি সরিয়ে রাখুন। ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে দই জমতে। এই সময় একেবারেই বাটি নড়ানো চলবে না। প্রয়োজন আগের দিন রাতে দই জমতে দিয়ে দিন। পরের দিন দুপুরের খাবার খাওয়ার আগে তৈরি হবে যাবে আপনার কিশমিশ মেশানো পুষ্টিকর দই। চাইলে আপনি লাঞ্চের পর বিকেলের দিকেও এই দই খেতে পারেন।
যদি বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা থাকেন তাহলে তাঁকে এই দই দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিশমিশের সঙ্গে যোগ করতে পারে ছোট টুকরো করে কাটা খেজুর।
কী কী গুণ রয়েছে কিশমিশ-খেজুর মেশানো দইয়ে?
১। শরীর থেকে খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
২। বদহজম এবং অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৩। দাঁত এবং মাড়ি শক্ত হওয়ার পাশাপাশি শক্তপোক্ত হয় হাড়।
৪। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় না। সেইসঙ্গে অনেকক্ষণ পেটও ভরে থাকে।