Motorcycle Ride: মোটরসাইকেল ডায়েরিজ়: ষষ্ঠ পর্ব দ্বিতীয় এবং শেষ অংশ, ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ঝর্ণা কলকাতা থেকে কতটা দূরে?

Weekend Trip to Odisha: চওড়া রাস্তা দিয়ে কখনও ছোট-বড় পাহাড়, কখনও জঙ্গল, আবার কখনও গ্রামের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যাবেন এই ড্যামে। ড্যামটি ছোট, কিন্তু বেশ সুন্দর। এটির একপাশে সবুজে ঢাকা পাহাড়, আর অন্য পাশে ছোট-বড় গাছের বিস্তীর্ণ জঙ্গল এবং দু’পাশ খোলা।

Motorcycle Ride: মোটরসাইকেল ডায়েরিজ়: ষষ্ঠ পর্ব দ্বিতীয় এবং শেষ অংশ, ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ঝর্ণা কলকাতা থেকে কতটা দূরে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 18, 2023 | 9:59 AM

শেষ রাতের দিকে একটু ঠান্ডাই লাগছিল। তাই পাখাটা বন্ধ করে দিলাম। শীতকালেও এখানে দিনের বেলা একটু বেশিই গরম থাকে। রাতে আবার তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যায় পরিবেশ। তাই একটু এ পাশ-ও পাশ করে আর ঘুম আসছে না দেখে উঠে পড়লাম। রিসর্টের মধ্যেই সকালের শান্ত-শীতল পরিবেশকে উপভোগ করতে একটু বেরিয়ে পড়লাম। ঘণ্টাখানেক আশপাশের জঙ্গল, এখানে লাগানো নানা ধরনের ফুলের বাগিচা, পাখি, গিরগিটি এবং নানা ধরনের সরীসৃপ জাতীায় প্রাণী দেখে আবার আমার রুমে ফিরলাম। এবার একটু ফ্রেশ হয়ে বাংরিপোশির বিখ্যাত কিছু জায়গা ঘুরে দেখব বলে রিসর্টের ডাইনিং হলে গিয়ে তাড়াতাড়ি চা-ব্রেকফাস্ট খেয়ে নিলাম। ব্রেকফাস্ট শেষ করে শুধু বাইক আর জলের মতো নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম নিডাম ড্যাম এর উদ্দেশ্যে। আমার রিসোর্ট থেকে নিডাম ড্যামের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। রিসর্ট থেকে বেরিয়ে মুম্বই-কলকাতা হাইওয়ে ক্রস করেই ঠিক উল্টোদিকে যে রাস্তায় গ্রামের দিকে চলে যাচ্ছে, সেই রাস্তা ধরলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর বুরহাবলাং নদী পেরিয়ে আরও কিছুটা যাওয়ার পর পৌঁছে গেলাম নিডাম ড্যাম। রাস্তা বেশ যথেষ্টই সরু। চওড়া রাস্তা দিয়ে কখনও ছোট-বড় পাহাড়, কখনও জঙ্গল, আবার কখনও গ্রামের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যাবেন এই ড্যামে। ড্যামটি ছোট, কিন্তু বেশ সুন্দর। এটির একপাশে সবুজে ঢাকা পাহাড়, আর অন্য পাশে ছোট-বড় গাছের বিস্তীর্ণ জঙ্গল এবং দু’পাশ খোলা। শীতকালে এই ড্যামটিতে নানা ধরনের পাখির সমাবেশ দেখা যায়। এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে আসুন ব্রিটিশদের তৈরি রেলওয়ে ব্রিজে। এই রেলওয়ে ব্রিজে ট্যুরিস্টের সেরকম আনাগোনা নেই, বেশিরভাগ মানুষই এখানে আসে না। এই ব্রিজটি ১৫০ বছরের পুরনো এবং এর নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে সুন্দর এক পাহাড়ি নদী, যা ক্রমে বুরহাবলাং নদীতে গিয়ে মিশেছে।

বাংরিপোশি, ছবি তুলেছেন: সঞ্জীব নস্কর।

এরপর চলে আসুন ১৩ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণ কুণ্ড-এ। এই ১৩ কিলোমিটার রাস্তা একটু খারাপ হলেও চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই কুণ্ডটি সিমলিপাল ন্যাশনাল ফরেস্টের মধ্যেই অন্তর্গত। এই কুণ্ডটির পরিষ্কার ঠাণ্ডা জল এবং দূরে থাকা সেই ঝর্ণার আওয়াজ আপনাকে আরও কাছে যেতে বাধ্য করবে। বড়-বড় পাললিক শিলার মধ্যে অবস্থিত এই কুণ্ডটি। পরিষ্কার জল এবং তাতে ভেসে থাকা ছোট-বড় মাছ আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর বাঙালি হওয়ার কারণে খাওয়ার ইচ্ছা তো করবেই। কিন্তু এই কুণ্ডের মাছ এখানকার মানুষ পবিত্র বলে মনে করেন। স্থানীয় মানুষের ভিড় থাকার কারণে এখানকার হনুমান মন্দির এবং বনবিবির মন্দিরের জন্যও এটি একটি পিকনিক স্পট। ব্রাহ্মণ কুণ্ডের আরেকটু উপরে গেলেই পাবেন একটি ঝর্ণা। এই ঝর্ণা থেকে নদী বা কুণ্ডটি দেখতে সত্যিই অসাধারণ। চারদিকে সবুজ পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই ব্রাহ্মণ কুণ্ডের জল এতটাই পরিষ্কার যে, আকাশ এবং সবুজ গাছের রং প্রতিফলিত হয়ে তা সবুজ কুণ্ড ধারণ করেছে। এই নদী, ঝর্ণা দেখতে-দেখতে কখন যে আপনার অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে, আপনি বুঝতেই পারবেন না। বর্ষাকালে এই ঝর্ণায় জল এতটাই বেশি থাকে যে, অনেক উঁচু থেকে পড়ার ফলে একটি প্রাকৃতিক রামধনুর আকার ধারণ করে।

তারপর এনএস ধরে চলে আসুন বানকাবাল ড্যামে। ব্রাহ্মণ কুণ্ড থেকে বালকাবাল ড্যামের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার, এই দূরত্ব পেরোতে মোটামুটি দু’ঘণ্টা সময় লেগে যাওয়ার কথা আপনার। এই বাঁধটি বেশ সুন্দর এবং সুবিশাল চারিপাশে পাহাড়ের মধ্যে এই ড্যামটি প্রচুর জল ধারণ করে বসে আছে। এই ড্যামটিতে রয়েছে একটি সুবিশাল ওয়াচ টাওয়ার। যার উপর থেকে দেখা যায় ড্যামটির ভৌগলিক অবস্থান, একটি বিশাল মাঠ এ.বং চারপাশের সবুজ জঙ্গল। বাইক সঙ্গে থাকার দরুন ড্যামটির চারপাশে যে রাস্তা আছে, তাতে আপনি অবাধে ঘুরতে পারে এবং একটি সুন্দর সময় কাটাতে পারেন।

এরপর বাইক নিয়ে চলে আসুন এই ড্যামের পাশেই অবস্থিত আরেকটি সুন্দর বাঁধ: নাম সুলাইপাত ড্যাম। এই ড্যামটি বানকাবাল ড্যাম থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা পেরোতে আপনার আধ ঘণ্টা সময় লাগবে। সৈজন্যে এখানকার মনোরম পরিবেশ। খারকাই নদীর উপর সুলাইপাত বাঁধ অত্য়ন্ত মুগ্ধকর অনুভূতি। এই ড্যামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সময় হল বিকেলবেলা। বিকেলবেলা চারপাশের আকাশের সঙ্গে এই জলের রং পরিবর্তন আপনাকে মুগ্ধ করবেই করবে। তারই সঙ্গে আপনাকে মুগ্ধ করবে এই ড্যামের পাশে থাকা ছোট ছোট-ক্যামসাইড। মানে এক কথায়, জঙ্গলের মধ্যে তাবুতে থাকার অভিজ্ঞতা আপনাকে ভাবাবেই। আজকের শেষ গন্তব্যস্থল এই সুলাইপাত ড্যাম থাকায় বেশ কিছুটা সময় এখানে কাটালাম, সূর্য অস্ত যাওয়াক পরেই এই জায়গার অপার্থিব সুন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করে ফিরে আসলাম খায়রি রিসর্টে। আগামিকালের প্ল্যান সিমলিপাল ফরেস্ট ঘুরে দেখা, এই জঙ্গল সকাল ছটার সময় খুলে যায় বলে আজকে বেশি সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম।

সিমলিপাল ন্যাশনাল পার্কের ঢোকার দু‘’টি পথ: একটি হল পিথাবাতা আর অন্য হল জাশিপুর দিয়ে। আমি এখানে জাশিপুর দিয়েই সিমলিপাল ফরেস্টে প্রবেশ করব, তার কারণ আমি চাই এই শিমলিপাল ফরেস্টের সম্পূর্ণটা ঘুরে দেখতে। তাই ভোর পাঁচটার মধ্যে বাইক স্টার্ট দিয়ে সোজা পৌঁছে গেলাম ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জোশিপুর সিমলিপাল ফরেস্ট রিজার্ভের বুকিং অফিসে। এখানে আসতে এক ঘণ্টা দশ মিনিট সময় লাগল, রাস্তা প্রায় ভালই বলা যায়।

এই জঙ্গলে বাইক নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। তাই ওড়িশা সরকারের বোলেরো গাড়ি ভাড়া করলাম। এখানে বলে রাখি এই গাড়িগুলোর ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা (একদিনের ভাড়া), আর মাথাপিছু ১০০ টাকা করে তারা নেবে। আমি শেয়ারের গাড়ির কথা বলাতে এই ফরেস্ট কাউন্টারেরই একটি লোক কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তারপর যেতে বললেন। আমি এর ফাকে বাইক নিয়ে ২ কিলোমিটার দূরে থাকা কুমির প্রকল্পে ঘুরে আসলাম। এই প্রকল্প ঘুরে যখন ফরেস্টের গেটের সামনে আসি, তখন প্রায় সাতটা বাজে। এসে দেখি সেই কাউন্টারের লোকটি আমায় খুঁজছেন, পরে বুঝলাম পাঁচ জনের একটি দলের সঙ্গে আমাকে যেতে বললেন। বুঝলাম, আজকের পুরো দিনটা তাঁদের সঙ্গেই থাকতে হবে। চট করে তাঁদের নাম এবং পরিচয় জেনে কাউন্টারে হাজার টাকা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমাদের প্রথম গন্তব্যস্থান উস্কি ঝর্ণা। এই ঝর্ণার দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পেলাম সুন্দর একটা নদী: খায়েরি নদী। এখানকার অপূর্ব দৃশ্য দেখে ড্রাইভার দাদাকে গাড়ি দাঁড় করাতে বললাম। এখানে কিছুটা ফটো সেশন করে নদীকে ডানদিকে রেখে আমরা জঙ্গলের আরও ভিতরে প্রবেশ করলাম।

জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর আমরা পৌঁছে গেলাম উস্কি ঝর্ণা। এই ঝর্ণাটি দেখতে খুবই সুন্দর। আর বেশ কিছুটা উঁচু থেকে জল পড়ায় এখানকার পরিবেশ বেশ ঠাণ্ডা। তার সঙ্গে রয়েছে ঘন জঙ্গল। এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করলাম পরবর্তী ঝর্ণার উদ্দেশ্যে। কিছুটা দূর যাওয়ার পরে এই জঙ্গলের মধ্যে থাকা একটিমাত্র হোটেলে আমরা দুপুরের খাবার সেরে নিলা।ম এখানে ভেজ খালি ১০০ টাকা এবং চাইলে আলাদা করে ডিম বা মাংসের অসুবিধা আছে। এরপর আমরা পৌঁছে গেলাম বারেহিপানি ঝর্ণায়। এই ঝর্ণাটি দূরে অন্য একটি পাহাড় থেকে নদীর জলধারা হিসেবে পড়ছে, তা দেখা যায়। এখানে ১৮০° জঙ্গলের ভিউ আপনাকে রোমাঞ্চিত করবে।

এর পরের গন্তব্য স্থান জরণ্ডা ঝর্ণা। প্রায় ঘন্টাখানেক যাওয়ার পর আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের পরবর্তী ঝর্ণায়। এটি ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ঝর্ণা। এটি সিমলিপাল ফরেস্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এই ঝর্ণার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতি বছর হাজারো পর্যটক এখানে আসেন। এই ঝর্ণা দেখে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। আজকের শেষ গন্তব্যস্থান চাহালা ওয়াচ টাওয়ার। এক ঘণ্টার উপরে পথ পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম গভীর অরণ্যের একটি ওয়াচ টাওয়ারে। এখানে বন দপ্তর থেকে পশু-পাখিদের উদ্দেশ্যে একটি সল্টপিট করা আছে। বন্যপ্রাণীরা প্রায়ই এখানে এসে থাকে নুনের খোঁজে। এখানে আমার লেন্সবন্দি হল হরিণ ময়ূর, আর কিছু নাম না জানা পাখি। এখানে অনেকটা সময় কাটিয়ে ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে আমাকে নামিয়ে দিল। আমার রাত্রিনিবাসের ঠিকানা জামুয়ানি নেচার ক্যাম্পে। এই ক্যাম্পের বুকিং আমি ওড়িশার ট্যুরিজম সাইট থেকে আগেই বুক করে নিয়েছিলাম। এখানে একটি ছোট রুমের কস্টিং সব মিলিয়ে হাজার টাকা পড়েছিল। রাতের খাবার এখানেই সেরে নিলাম এবং পরের দিন সকালে এই গ্রামটির আশেপাশে ঘুরে সকাল দশটার সময় ব্রেকফাস্ট শেষ করে চলে এলাম জোশিপুর বুকিং কাউন্টারে।

বাংরিপোশি, ছবি তুলেছেন: সঞ্জীব নস্কর।

তারপর এখান থেকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আজকের দিনের প্রথম গন্তব্যস্থল সুনেই ড্যাম এবং কালা ড্যাম। এই ১১৫ কিলোমিটার রাস্তা খুব সুন্দর। ছোট-বড় পাহাড় এবং জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে এই রাস্তা। কখনও আবার ছোট-ছোট গ্রাম আবার কখনও গভীর জঙ্গল। করানজিয়া থেকে বাঁ দিক নিয়ে আনন্দপুর-করানজিয়া রাস্তা ধরে সেজে চলে আসুন থাকুর্মুন্ডা নামে একটি স্থানে। তারপর সেখান থেকে বাঁ দিক নিয়ে পরপর ২টি ড্যাম সুনেই এবং কালা। ২টি ড্যামের বৈচিত্র্য আলাদা এখানে পাবেন দু’রকমের ভিউ।

বাংরিপোশি, ছবি তুলেছেন: সঞ্জীব নস্কর।

এরপর চলে আসুন আজকের শেষ গন্তব্যস্থান: দেবকুন্ড ওয়াটার ফলস। দিও নদীর জলে তৈরি হয়েছে এই ঝর্ণাটি, এই দেবকুণ্ড পাহাড়ের একেবারে উপরে রয়েছে ভগবান শিবের মন্দির। এখানে আপনি স্নান করে মন্দিরে পুজোও দিতে পারেন। এই কুণ্ডের জল প্রচন্ড ঠাণ্ডা। এই কুণ্ডের জলে পা দিলেই বুঝতে পারবেন ছোট-ছোট মাছ কী করে। আপনার পায়ের সামনে দিয়ে এত মাছ ঘোরাফেরা করবে যে, জলে পা রাখতেই ভয় লাগবে। এরপর বাড়ি ফেরার পালা। পথে আমি কুলিয়ানায় থামলাম, যা ডোকরার হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত। ডোকরা হল হারিয়ে যাওয়া মোম কৌশল ব্যবহার করে অ-লৌহঘটিত ধাতু ঢালাইয়ের এক প্রাচীন হস্তশিল্প। কুলিয়ানা হল কয়েকটি পরিবারের একটি ছোট গ্রাম, যা এখনও প্রাচীন হস্তশিল্পের অনুশীলন করে এবং এটিকে বাঁচিয়ে রাখে।

এরপর এখান থেকে কিছু ছোট-ছোট ভগবানের মূর্তি এবং বন্যপ্রাণীর কিছু মূর্তি কিনে ঘিয়াজোদী থেকে ডান দিক নিয়ে বাহারাগরা। সেখান থেকে আবার ডান দিক নিয়ে সোজা সরডিহা হয়ে লোধাসুলি এবং পরে খড়গপুর কোলাঘাট হয়ে কলকাতায় এসে পৌঁছলাম, যার আনুমানিক দূরত্ব ২২২ কিলোমিটার। তবে রাস্তা ভাল থাকায় চার ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়।