Rann of Kutch: মরুভূমি, ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির টানে এবার শীতে হোক ভুজ সফর…

Gujarat: এ এক উৎসবই বটে! ঐতিহ্যবাহী রঙিন পোশাক, ঐতিহ্যবাহী গহনা, সঙ্গীত, নৃত্য, খাবার—সব মিলিয়ে জমজমাট কচ্ছের রণ উৎসব।

Rann of Kutch: মরুভূমি, ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির টানে এবার শীতে হোক ভুজ সফর...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2022 | 8:15 AM

এ এক উৎসবই বটে! ঐতিহ্যবাহী রঙিন পোশাক, ঐতিহ্যবাহী গহনা, সঙ্গীত, নৃত্য, খাবার—সব মিলিয়ে জমজমাট কচ্ছের রণ উৎসব। শীত আসা মানেই মনটাও বেড়াতে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। আর যে দেশে গোটা শীত জুড়ে কচ্ছের রণ উৎসব চলে সেখানে ‘কোথায় যাব’—এটা ভাবতে হয় না। মরুভূমি, সমুদ্র সৈকত, ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদ, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ভারতের সংস্কৃতি—সব কিছু এক সঙ্গে পাওয়া যায় কচ্ছে। আর সেই কচ্ছে ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে গুজরাতে বিখ্যাত কচ্ছের রণ উৎসব। চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ গোটা শীত জুড়েই থাকছে গুজরাতে উৎসবের মরশুম।

কচ্ছের রণ উৎসব কচ্ছের পর্যটন শিল্পে ‘চার চাঁদ’ লাগিয়ে দেয়। যদিও আহমেদাবাদ, সুরাট, গির অরণ্য, গান্ধীনগর, দ্বারকা, রাজকোট, দমন, দিউয়ের মতো সারা বছর পর্যটকেরা ভিড় করে না কচ্ছের রণে। কিন্তু কচ্ছ জেলার সদর শহর ভুজ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম আয়তন বিশিষ্ট শহর। খরা এবং ভূমিকম্পে আজ বিধ্বস্ত সমগ্র অঞ্চল। কিন্তু এখানকার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির টানে পর্যটকেরা বার বার ভিড় করেন ভুজে। সেই ভুজের অন্যতম উৎসব কচ্ছের রণ উৎসব।

হামিরসর সরোবরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভুজ। আর রয়েছে একটি প্রাচীন প্রাসাদ—প্রাগমহল। এই শহরেরই রয়েছে গুজরাতের প্রাচীনতম জাদুঘর—কচ্ছ জাদুঘর। আগে এই জাদুঘরের নাম ছিল ফার্গুসেন জাদুঘর। এছাড়াও রয়েছে আয়না মহল। এখানকার এই জাদুঘরগুলোতে কচ্ছের সংস্কৃতির ঝলক দেখা যায়। প্রাচীন এই শহরের নিদর্শন দেখার জন্য এগুলোতে অবশ্যই যেতে হবে। আপনি যদি পশুপ্রেমী তাহলে ঘুরে নিতে পারেন কচ্ছ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যও। ফ্লেমিংগো দেখে মন ভরে যাবে। সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। কাছেই রয়েছে ধোলাভিরা। কিন্তু মনে কেড়ে নেবে কচ্ছের উন্মুক্ত মরুভূমি।

সাদা লবণের মরুভূমিতে ফুটে ওঠে কচ্ছের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। মরুভূমি আর জলাভূমির মেলবন্ধন দেখা যায় কচ্ছে। এক দিকে গ্রেট রণ আর অন্যদিকে লিটল রণ। আর এক সীমানায় রয়েছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় কচ্ছ। আর কচ্ছের রণ উৎসব এই বৈচিত্র্য আরও বেড়ে যায়। কচ্ছের লোকসংস্কৃতি ফুটে ওঠে এই উৎসবে। আয়না বসানো সূচিশিল্প, চর্মশিল্প দেখার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে কচ্ছের রণে। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী গুজরাটী থালির স্বাদ নেওয়ার। রয়েছে পূর্ণিমা রাতে তাঁবুর বাইরে বসে গুজরাতের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান দেখার সুযোগ। রঙ, সংস্কৃতি এবং দর্শনীয় টপোগ্রাফির মেলবন্ধন ঘটে গুজরাতের কচ্ছের রণ উৎসবে।