Jim Corbett Travel: জিম করবেটে রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা! কীসের কারণে এই সিদ্ধান্ত, জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে…

Uttarakhand: বর্ষাকালে প্রাণীদের রূপ অন্যরকম হয়ে যায়। এই সময়টা তাদের মিলনের সময়। ফলে বন্যপ্রাণীরা বর্ষাকালে প্রজননের সময় মারাত্মক আখ্রমণাত্মক হয়ে যায়।

Jim Corbett Travel: জিম করবেটে রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা! কীসের কারণে এই সিদ্ধান্ত, জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 12:12 PM

রোজকার একঘেয়েমি জীবন কাররই ভালো লাগে না। মাঝে মধ্যে কোথাও থেকে বেড়িয়ে এলে মনটা বেশ ভালো লাগে। তবে কথায় ঘুরতে যাবেন বুঝে উঠতে পাড়ছেন না। তাহলে আপনাদের জন্য রইলো সবুজে ঘেরা কিছু জায়গা। ঘন গভীর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে সাফারি করতে সরতে হঠাত করে রায়বাঘিনীর দেখা পাওয়া, সারাজীবনের ক্যানভাসে ছবি তুলে রাখার মত ঘটনা। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের কাছে হিমালয় পাহাড়ের কোলে জিম করবেট জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে (Jim Corbett National Park) পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ বন্দোবস্ত। তবে বর্ষার শুরুতেই দুঃসংবাদ শুনিয়েছে এই উদ্যান। বর্ষের দিনগুলিতে পার্কের জঙ্গলটি ভয়ংকর সুন্দর হয়ে ওঠে। এর জেরে দেশের বিখ্যাত এই জাতীয় পার্কে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জিম করবেট পার্কের ডেপুটি ডিরেক্টর নীরজ শর্মা জানিয়েছেন, বর্ষার কারণে ১৪ জুন থেকে বিবিন্ন অঞ্চলে পর্যটকদের রাত্রিযাপন বন্ধ করা হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ফের পার্কে রাত্রিযাপনের সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, জিম করবেটে বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকাই পর্যটকদের জন্য চালু রয়েছে। তবে বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদী-নালাউপচে পড়ে। ফলে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এই আশঙ্কায় প্রতি বছরের মত এবারেও করবেটের বেশ এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারমধ্যে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা ভরা মরসুমে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৫ জুন থেকে করবেটের ধিকালায় সাফারির জন্য বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সিতওয়ানি-রামনগর বন বিভাগের ধিকালা এলাকাটি আগামী ৩০ জুন থেকে বন্ধ করার চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, একই সময় বন্ধ থাকবে বিজরানি সেক্টরও। বর্ষা শুরু হতেই করবেটে সাফারি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে করবেটের মূল আকর্ষণ হল ঝিকালা জোনটি। এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি সাফারি পরিষেবা পাওয়া যায়। অন্যান্য সাফারি ক্ষেত্রগুলিতে প্রায় ২৫ কিমি পরিসরের মধ্যে রাখা হয়। কিন্তু ঝিকালায় সেই পরিসরের গিয়ে দাঁড়ায় ৩৫কিমিতে। এছাড়া লাল রাস্তার মাঝে দক্ষিণরায়কে কাছ থেকে দেখার সুযোগও পাওয়া যায়।

ধিকালা ফরেস্ট রেস্ট হাউস ও জিম করবেটের বুকিং এজেন্ট জানিয়েছেন, বর্ষাকালে প্রীণীদের রূপ অন্যরকম হয়ে যায়। এই সময়টা তাদের মিলনের সময়। ফলে বন্যপ্রাণীরা বর্ষাকালে প্রজননের সময় মারাত্মক আখ্রমণাত্মক হয়ে যায়। এছাড়া রাস্তাগুলিও খারাপ হয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র সরকারি রেঞ্জারদের একমাত্র প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয় এই সময়। তবে এখানে বলে রাখা ভাল,নভেম্বরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে ভ্রমণের পরিকল্পনা যদি করে থাকেন, তাহলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অগ্রিম বুকিং পুনরায় চালু হয়, সেইসময় বুকিং করে পৌঁছে যেতে পারেন।