Buddha Purnima 2023: কলকাতার বুকে এক চিলতে তিব্বত! আজকের দিনে এই ৫ জায়গা গেলে মিলবে বৌদ্ধ সংস্কৃতির দেখা
Buddhist temples of Kolkata: কলকাতা শহরের বুকেও এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে আজকের দিনে বেড়াতে গেলে সাক্ষী হতে পারবেন বৌদ্ধ সংস্কৃতির। উত্তরে লেক টাউন থেকে দক্ষিণে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত ৫টি জায়গার খোঁজ নিয়ে রইল আপনার জন্য।
আজ বুদ্ধপূর্ণিমা। এই বুদ্ধপূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মের অনুরাগীরা উৎসব ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কলকাতা শহরের বুকেও এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে আজকের দিনে বেড়াতে গেলে সাক্ষী হতে পারবেন বৌদ্ধ সংস্কৃতির। উত্তরে লেক টাউন থেকে দক্ষিণে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত ৫টি জায়গার খোঁজ নিয়ে রইল আপনার জন্য। এই সব বৌদ্ধ মন্দিরগুলোর বয়স প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি।
বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা, বো ব্যারাক- ক্রিসমাসের সময় অনেকেই ভিড় করেন বো ব্যারাকে। এই মধ্য কলকাতার বো ব্যারাকে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা। ১৮৯২ সালে বেঙ্গল বৌদ্ধ অ্যাসোসিয়েশন এটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। যদিও বো ব্যারাকে মন্দিরটি তৈরি হয় ১৯০৩ সালে। এখানে কাচের ঘরের ভিতর সোনার তৈরি একটি বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে।
শ্রীধর্মরাজিকা চৈত্য বিহার, কলেজ স্ট্রিট- প্রায় ১০০ বছর আগে কলেজ স্কোয়ারের কাছে তৈরি হয় এই বৌদ্ধ বিহার। ১৯১৮ সালে সিংহলী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী অনাগরিকা ধর্মপাল এই বৌদ্ধ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে স্তূপের ভিতরে রাখা আছে ভট্টিপ্রলুতে সম্রাট অশোকের স্তূপ থেকে পাওয়া গৌতম বুদ্ধের অস্থি। এখানে রয়েছে গৌতম বুদ্ধের দাঁত।
মায়ানমার বৌদ্ধ মন্দির, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ- এই বৌদ্ধ মন্দির একসময় বার্মা বৌদ্ধ ধর্মশালা নামে পরিচিত ছিল। এই মন্দিরটি ১৯২৮ সালে তৈরি হয়েছিল। পাঁচটি ভিন্ন অংশ দিয়ে তৈরি বুদ্ধর মূর্তি। এমন মূর্তি গোটা বিশ্বে মাত্র পাঁচটি রয়েছে। যার মধ্যে একটি রয়েছে কলকাতার এই মন্দিরে এবং বাকি চারটে রয়েছে মায়ানমারে।
নিপ্পনজান মায়োহোজি, ঢাকুরিয়া- রবীন্দ্র সরোবরের গায়েই রয়েছে এই জাপানি বুদ্ধ মন্দিরটি। ১৯৩১ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বৌদ্ধধর্মের নিপ্পনজান মায়োহোজি বা নিপ্পনজান-মায়োহাজি-ডাইসাঙ্গা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুসারে। অপূর্ব সুন্দর এই মন্দিরের নকশায় জাপানি সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের ভিতরে মার্বেলের তৈরি বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে।
কলকাতা কর্ম গন মঠ, পদ্মপুকুর- বালিগঞ্জের পদ্মপুকুর এলাকায় অবস্থিত এই মন্দিরটি। এখানে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বৌদ্ধ ভিক্ষু আক্কা দর্জি ১৯৩০ সালে দার্জিলিং থেকে কলকাতায় আসেন এবং এই মঠটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এই মঠের নাম ছিল হিমালয়ান বুদ্ধিস্ট গম্বা। যদিও ১৯৭০ সালে এটি মঠের দায়িত্ব চলে যায় সিকিমের রামতেক মনেস্ট্রির হাতে। তখন মঠের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় কলকাতা কর্ম গন মঠ।