Motorcycle Ride: মোটরসাইকেল ডায়েরিজ়: প্রথম পর্ব, লেপচাখার যে দুর্গে বন্দি ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু…

North Bengal Tourism: খুব ছোট্ট একটি গ্রাম হলেও এখানকার মানুষের জীবনধারা অত্য়ন্ত সাধারণ। তারা আজও পিঠে করে দৈনন্দিনের পসরা পাহাড়ের নিচ থেকে উপরে নিয়ে আসে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল দিনে এবং রাতে পাহাড়ের চূড়া।

Motorcycle Ride: মোটরসাইকেল ডায়েরিজ়: প্রথম পর্ব, লেপচাখার যে দুর্গে বন্দি ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 9:30 AM

সঞ্জীব নস্কর বেহালার বাসিন্দা। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত, সারা দেশ তথা বিদেশের নতুন-নতুন জায়গা সম্পর্কে জানা, ছবি আঁকা আর বাইক রাইডিং শখ সঞ্জীবের। TV9 বাংলার ভ্রমণ বিভাগের  জন্য আজ, মে মাসের প্রথম রবিবার থেকে প্রতি সপ্তাহের শেষ দিন বাইকার-অ্যাডভেঞ্চারিস্টদের জন্য সঞ্জীব ঝুলি থেকে বের করবেন এক-একটি সফরনামার গল্প… আজ, সেই ‘মোটরসাইকেল ডায়েরিজ়’-এর প্রথম পর্ব।

প্রতিদিনের চেনা জীবনপথ ছেড়ে আজ চলুন একটু রংরুটে যাওয়া যাক। না, না, Wrong-রুট নয়—যে রুট তুলনায় অনেক বেশি রঙিন, এমন রুট। ঘুরে আসি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের একটি বড় অংশ কাটানো যে জায়গায়, সেরকম একটা জায়গা থেকে। যেখানে হয়তো আজও পাওয়া যাবে তাঁর স্মৃতির সুবাস, তাঁর বিদ্রোহী চেতনার উত্তাপ। না, আজ দিতে হবে না কোনও রক্ত, শুধু জীবনের শিরদাঁড়াটা সোজা করেই পৌঁছে যেতে হবে লেপচাখা বা বক্সা ফোটে। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ভারতের একটি প্রধান ব্যাঘ্র প্রকল্প: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। যার পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে গদাধর নদী। আর সেই নদীর পার করলেই পৌঁছে যাবেন ভুটান। চারিদিকে ছোট-বড় চিরসবুজ পাহাড়ের বনাদি আর আছে সন্তালাবাড়ি, লেপচাখা, চুনাভাটি, রোভার্স হিল টপ, রিমবাউন্ড ভ্যালি এবং পোখরির মতো সুন্দর-সুন্দর জায়গা। যেখানে রাত মানে ঘুটঘুটে অন্ধকার, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, জোনাকির ঝিকমিক আলো এবং তারায় ভরা আকাশ। আবার কখনও-কখনও শিয়াল বা নানা ধরনের পশুর ডাকে প্রকৃতি হয়ে ওঠে কঠিন অথচ ভীষণ সুন্দর।

খুব ছোট্ট একটি গ্রাম হলেও এখানকার মানুষের জীবনধারা অত্য়ন্ত সাধারণ। তারা আজও পিঠে করে দৈনন্দিনের পসরা পাহাড়ের নিচ থেকে উপরে নিয়ে আসে। স্থানটি পাঁচটি জনপ্রিয় পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত, যার মধ্যে মহাকাল, চুনাভাটি এবং রোভারস ট্রেকিং পয়েন্ট উল্লেখযোগ্য। থাকার জন্য ছোট-ছোট হোমস্টেও রয়েছে। এখানকার স্থানীয়রা গ্রামটিকে দ্রুকপা গ্রাম বলেও ডাকেন। এই গ্রামে একটিমাত্র স্কুল আছে, যেখানে আবার নেপালি এবং ভুটানি লিপির মাধ্যমে পড়াশোনা শেখানো হয়।

এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল দিনে এবং রাতে পাহাড়ের চূড়া। এই গ্রামের ঠিক মাঝখানে একটি ছোট মাঠ আছে, যেখানে দাঁড়িয়ে পুরো বক্সা বনাঞ্চল দেখা যায়। এই গ্রামের একটি ছোট ইতিহাস হল, এটি ভুটান রাজা এবং তৎকালীন সমভূমির কোচ রাজার মধ্যে ভাগাভাগি হওয়া বিরাট এলাকা। পরে সেটি ব্রিটিশ ভারত ও ভুটানের মধ্যে ১৮৬৫ সালে সিং চুলা চুক্তির মাধ্যমে গোরাদের দখলে আসে।

কীভাবে যাবেন: লেপচাখাতে যেতে হলে আগে আপনাকে সন্তালাবাড়িতে আসতে হবে। কলকাতা থেকে যার দূরত্ব সড়কপথে প্রায় ৭১৫ কিলোমিটার। শুক্রবার অফিস করে তিন দিনের ছুটি দিয়ে শনিবার ভোরে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সন্তালাবাড়ির উদ্দেশে।

হাতে সময় শুধু সামনের সপ্তাহটা। তাই ভাবছেন সঙ্গে কী-কী নেবেন? সঙ্গে একটি ছোট ব্যাকপ্যাক নিয়ে নিন। দু’সেট জামাপ্যান্ট। একটি গরম জামাপ্যান্টের সেট যা রাতে লাগতে পারে। কিছু শুকনো খাবার, কিছু এনার্জি বার, কিছু সাধারণ ওষুধ, আপনার অতিপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী আর দু’টো এক লিটারের জলের বোতল। যেহেতু আনুমানিক ১৫০০ কিলোমিটারের রাস্তা, তাই আরেকটি ছোট ব্যাগে ক্লাচ ও এক্সিলেটর কেবল, স্পার প্লাগ (এক সেট), পাংচার কিট আর একটি ছোট ডিজিটাল এয়ার পাম্প এবং এডজাস্টেবল রেঞ্জ ও স্প্যানার। রাতেই বাইকের সঙ্গে বাঞ্জিকড দিয়ে বেঁধে রাখুন দুটি ব্যাগ।

যাঁরা ট্রেনে আসবেন, তাঁরা দুপুরের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে এসে গাড়ি বুক করে সোজা চলে যান সন্তালাবাড়িতে। বিকেল বা সন্ধে হয়ে গেলে সন্তালাবাড়িতে হোটেল বা হোমস্টে বুক করে থেকে যান। পরদিন সকাল সাতটা নাগাদ সব জিনিসপত্র ব্যাকপ্যাক করে চলে যান বক্সে ফোর্ট চেকপোস্টে, যা হোটেল থেকে পায়ে হাঁটা পথ।

ভোরবেলা শান্ত শীতল কলকাতাকে ‘গুডবাই’ বলে এনএইচ টুয়েলভ ধরে সোজা চলে আসুন কৃষ্ণনগর। যার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। রাস্তার ধারে কোনও একটা মিষ্টির দোকান দেখে গরম-গরম কচুরি আর মিষ্টি খেয়ে প্রাতরাশ শেষ করে নিন। এরই মধ্যে আপনার বাইকও প্রায় ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। বাইকের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ কিলোমিটারের পর অন্তত ৩০ মিনিট রেস্ট দেওয়া দরকার। তারপর আবার মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার মানে বেথুয়াডহরি পলাশী হয়ে বহরমপুর। কলকাতা থেকে বহরমপুর পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার রাস্তা গ্রাম, বাজারঘাট, লোকালয় বেশি থাকার জন্য একটু বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তা-ও সকালে যাত্রা শুরু করার জন্য মোটামুটি ছ’ঘণ্টা লাগবে। এখন দুপুর বারোটা। সূর্যের প্রচণ্ড তাপের ফলে বাইকে একটু বেশি সময়ের জন্য ঠাণ্ডা জল আর নিজেকে এক লিটার ওআরএস অবশ্যই দিতে হবে। আর একটা কথা বলা দরকার, রাস্তায় কোনও রকমের অসুবিধা হলে হেল্পলাইন ছাড়া যে কোনও পেট্রোল পাম্পে সাহায্যের জন্য আসতে পারেন। জল, বাথরুম, রেস্টুরুম এবং গাড়ির সংক্রান্ত কোনও অসুবিধা হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাহায্য করতে তাঁরা বাধ্য।

এরপরে চলে আসুন সাগরদিঘি, রঘুনাথগঞ্জ, ধুলিয়ান হয়ে ফারাক্কা। এখানে আপনি দুপুরের খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়ুন রায়গঞ্জের উদ্দেশে। বহরমপুর থেকে রায়গঞ্জের রাস্তা খুব ভাল, কিন্তু গরমের কারণে ৫ ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা। কিষাণঞ্জে পৌঁছে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিন। সঙ্গে সন্ধের টিফিন করে ইসলামপুরে রাতে থাকার মতো হোটেল খুঁজে নিন। ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে ভাল মানের ঘর পেয়ে যাবেন। কারণ ইসলামপুরের পরে সেরকম ভাল থাকার জায়গা নেই। আর লং রাইডের জন্য একটা কথা মাথায় রাখা দরকার: বাইক দেড়শো সিসির নিচে হলে ৭০ কিমি/ঘণ্টা এবং ২০০ সিসির উপরে হলে ৮০-৯০ কিমি/ঘণ্টা-এর বেশি স্পিড তুলতে নেই।

পরদিন সকাল ছ’টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের কাজকর্ম শেষ করে সকাল সাতটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ুন। আজ কিছু স্পট দেখে ২২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আবার ট্রেকিংও করতে হবে। তাই আর ব্রেকফাস্টের কথা না ভেবে বেরিয়ে পড়ুন ফুলবাড়ির উদ্দেশে। ৭০ কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ি। সেখানে ব্রেকফাস্ট শেষ করে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ঘুরে আসুন। ভারত-বাংলাদেশের বর্ডার। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে ছবি তুলে চলে আসুন ময়নাগুড়ি-ধুপগুড়ি-ফালাকাটা হয়ে আলিপুরদুয়ার। এই ১৪০ কিলোমিটার পথের দু’পাশে সারি-সারি চা বাগান আর ঘন জঙ্গল আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর মুগ্ধ করবে সেই পাহাড় থেকে তরাই অঞ্চল হয়ে নেমে আসা। নদী যার বেশিরভাগই নুড়ি পাথরে ঢাকা। দূরে সেই ছোট-ছোট পাহাড় আর চা বাগান। গাছপালা গাঢ় সবুজ থেকে কালো হয়ে আসার মুহূর্তকে দেখে সেই অর্জুনের কথা বারবার মনে পড়ে যাবে। নানা কথা ভাবতে-ভাবতে কখন যে ১৪০ কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে এসেছেন, বুঝতেই পারবেন না।

আপনি যখন আলিপুরদুয়ারে পৌঁছবেন, তখন মোটামুটি দুপুর বারোটা বাজবে। তাই আর দেরি না করে রাজবাড়ি দেখে একটা ভাল বাঙালি হোটেলে বোরোলি মাছ-ভাত খেয়ে বেরিয়ে পড়ুন সন্তালাবাড়ির উদ্দেশে। কিছুদূর যাওয়ার পর সমতল ছেড়ে পাহাড়ে উঠতে হবে। এই সময় চারিদিক হঠাৎই যেন বদলে গেল। নীল আকাশের মধ্যে সাদা মেঘের খেলা। তার নিচে কালো পাহাড়ের রাশি এবং চা বাগান, আর বড়-বড় পাইন, দেবদারু গাছের মেলা। প্রকৃতির সৌন্দর্য আস্বাদন করতে-করতে চলে আসবেন সন্তালাবাড়িতে। বক্সা টাইগার রিজার্ভের কোলে একটি ছোট্ট সুন্দর গ্রাম সন্তালাবাড়ি। এটি বক্সা টাইগার রিজার্ভের মধ্যে অবস্থিত। তার নৈসর্গিক দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। শীতকালে এই গ্রামে অনেক কমলালেবু হয়। স্থানীয় ভাষায় কমলালেবুকে ‘সান্তা’ বলে থাকে, তাই-ই এই গ্রামের আরেক নাম সান্তাবাড়ি।

সন্তালাবাড়ি থেকে লেপচাখা ভিউ পয়েন্টের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার। যা আপনাকে পায়ে হেঁটেই যেতে হবে। অনেকে আবার সন্তালাবাড়ি থেকে গাড়ি বুক নকরে। তবে বলে রাখা দরকার এই গাড়িগুলো ২ কিলোমিটারের বেশি যায় না। সন্তালাবাড়িতে গাড়ি বা বাইক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। তাতে গাড়ি রেখে আপনার বড় ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন লেপচাখার উদ্দেশ্যে। লেপচাখা যাওয়ার রাস্তা একটাই। তার জন্য কোনও গাইডের প্রয়োজন নেই। সন্তালাবাড়িতে খুব ভাল মোমো পাওয়া যায়। আপনি ভাবছেন এই ভরা দুপুরে মোমো খাবেন কি না? বিশ্বাস করুন, বড়-বড় গাছ এবং প্রকৃতির নিচে দুপুরকে দুপুর বলে মনে হয় না। যাত্রার প্রথমের দিকে রাস্তাঘাট খুব চওড়া এবং রাস্তার পাশে বিশ্রামের জন্য সিমেন্টের শেড করা আছে। একটু কষ্ট করে প্রায় ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে যখন বক্সার ভিউ পয়েন্টে এসে চারিদিকের নৈসর্গিক প্রকৃতিকে দেখবেন, তখন স-অ-অ-ব ক্লান্তি ভুলে যাবেন। প্রায় ১৮০ ডিগ্রি বক্সে অভয়ারণ্য, পোখরি, জয়ন্তী, আলিপুরদুয়ারকে যখন একবারে দেখবেন, তখন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারবেন না। পারবেন না সেই ভিউ পয়েন্ট থেকে আগে এগিয়ে যেতে। কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবার সেই একই পথ দিয়ে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে চলে যান বক্সা দুর্গতে।

আর সেই দুর্গতেই ১৯৩০ সাল থেকে ইংরেজরা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীকে বন্দী করে রাখত। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভূপেন দত্ত, হেমচন্দ্র ঘোষ, ভূপতি মজুমদার প্রমূখ । ১৯৯৭-এ এক স্মারক স্তম্ভ তৈরি করা হয় স্বাধীনতার সংগ্রামীদের স্মরণে। আজ এই দুর্গটি মেরামতির জন্য বন্ধ। এখানে গিয়ে আপনার মন হয়ে উঠবে আবেগঘন। এই দুর্গটি দেখা হয়ে গেলে আগের রাস্তায় উঠলেই পাবেন এখানকার স্থানীয় মানুষের কিছু খাবারের দোকান, যার গন্ধ আপনাকে সেসব কাবার খেতে বাধ্য করবেই। এখানে চাইনিজ ফুড খেয়ে বেরিয়ে পড়ুন লেপচাখা ক্যাম্প সাইড হয়ে লেপচাখা ভিউ পয়েন্টে। প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার রাস্তার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য আপনাকে করে দেবে স্তব্ধ। টাসি গাঁও থেকে ডান দিকে বেঁকে লেপচাখা ভিউ পয়েন্ট আর বাঁ দিকে ঘুরলে চলে যাবেন রোভারস পয়েন্ট। রোভারস পয়েন্ট থেকে লেপচাখাকে সুন্দরভাবে দেখা যায়। অনেকেই লেপচাখাতে রাত্রিযাপন করে পরদিন সকালে রোভারস পয়েন্ট এবং আশপাশের জঙ্গল ঘুরে আসেন, আপনিও তা-ই করতে পারেন।

পাহাড়ের উপরে ছোট একটা গ্রাম লেপচাখা। বক্সা ফোর্ট চেকপোস্ট থেকে লেপচাখা প্রায় সাত কিলোমিটারের পথ। সব মিলিয়ে চার ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। তাই আপনি যখন লেপচাখাতে পৌঁছবেন, তখন বড়-বড় হোলি ফ্ল্যাগ আপনাকে স্বাগত জানাবে। আপনাকে স্বাগত জানাবে এখানকার মানুষের চোখ-মুখের ভাষা, আর এখানকার ছোট-ছোট বাচ্চাদের কোলাহল, পাখির ডাক এবং নানা ধরনের সুন্দরী ফুলের গাছ। সেই গ্রামের একটি মনাস্ট্রি আপনাকে মুগ্ধ করবে। চারপাশটা ঘুরে দেখে যখন গ্রামের শেষে একটি ছোট্ট মাঠের মতো জায়গায় এসে পড়বেন, তখন সূর্য প্রায় অস্তমিত। তার লাল আভায় আপনার চোখে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ক্যানভাস, যা আপনাকে কিছুক্ষণ অপলক ভাবে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করবে অনন্তের দিকে।

অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ