AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saraswati River: দেশের কোন অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয় সরস্বতী নদী? সচক্ষে দেখেছেন কেউ?

Mythology: সরস্বতী নদীর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন? ভারতের কোন অংশ দিয়ে এই নদী প্রবাহিত হয়, জানেন? কিংবা আপনি কখনও নিজে চোখে এই নদীর অস্তিত্ব দেখেছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার কাছে না থাকে, তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য।

Saraswati River: দেশের কোন অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয় সরস্বতী নদী? সচক্ষে দেখেছেন কেউ?
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2023 | 9:00 AM
Share

সরস্বতী নদীর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন? ভারতের কোন অংশ দিয়ে এই নদী প্রবাহিত হয়, জানেন? কিংবা আপনি কখনও নিজে চোখে এই নদীর অস্তিত্ব দেখেছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার কাছে না থাকে, তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য। ভারতের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে নদীর গুরুত্ব সবসময় বেশি। প্রায় ৪০০ টিরও বেশি নদী প্রবাহিত হয় ভারতের মাটির উপর দিয়ে। কিন্তু সরস্বতী নদীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

পুরাণে উল্লেখ রয়েছে সরস্বতী নদীর। রামায়ণ ও মহাভারতের মতো ধর্মগ্রন্থেও সরস্বতী নদীর বর্ণনা রয়েছে। শোনা যায়, সরস্বতী নদী মাটির নীচে দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর কেশব প্রয়াগ হল, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল। এখানেই শুধুমাত্র সরস্বতী নদী দৃশ্যমান। বৈদিক যুগে এই নদীকে পবিত্র নদী বলা হত। ঋকবেদেও উল্লেখ রয়েছে সরস্বতী নদীর। তবে, এখন এই নদী অদৃশ্য।

ISRO-র এক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, আজও সরস্বতী নদী হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং রাজস্থানের মধ্য দিয়ে ভূগর্ভে প্রবাহিত হয়। ২০০২ সালে ‘ডাউন টু আর্থ’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, হরপ্পা সভ্যতার সময় এই নদীটির অস্তিত্ব ছিল। হরপ্পা সভ্যতার বেশ কিছু অংশ গড়ে উঠেছিল এই নদীর তীরে। এছাড়া মহাভারতের বেশ কিছু অংশে এমন একটি নদীর উল্লেখ রয়েছে যা হরিয়ানার একটি শহরে, বর্তমানে সিরসা নামে পরিচিত, পরবর্তীকালে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ভৌগলিক, ইতিহাস ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, রাজস্থান সবসময় শুষ্ক ছিল না। এখানে সবুজ ঘেরা অঞ্চলও ছিল এবং এখান দিয়ে নদীও বইত। তাছাড়া এই অঞ্চলের চারপাশে মহেঞ্জোদারো এবং হরপ্পান সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।

বর্তমানে ভারত-চিন বর্ডারে অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের শেষ গ্রাম ‘মানা’তে গেলে আপনি সরস্বতী নদী দেখতে পাবেন। মানা গ্রাম বদ্রীনাথ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মানা গ্রামে ব্যাসদেব এবং গণেশের গুহা রয়েছে। সরস্বতী নদীর তীরে বসে ব্যাসদেব গণেশকে মহাভারত পাঠ করতে বলেন। পাশাপাশি সরস্বতী নদীকে সশব্দে প্রবাহিত হতে বারণ করেন। কিন্তু খরস্রোতা সরস্বতী নদী সে কথায় কান না দিয়ে বইতে থাকে। তখনই গণেশকে নদীকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে এটি একদিন বিলীন হয়ে যাবে। মানা গ্রামে বেড়াতে গেলে আজও দেখতে পাবেন সরস্বতী নদী, যা মিশেছে অলকানন্দায়।

পৌরাণিক কাহিনির পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণাও দাবি জানায় যে, সরস্বতী নদীর অস্তিত্ব একসময় ছিল। ‘ডাউন টু আর্থ’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পশ্চিম ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সরস্বতী নদী যেসব অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, তার মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় হিমাবহ ছিল। সেই হিমাবহগুলোই রাজস্থান ও কচ্ছের রণকে প্লাবিত করেছিল। গবেষণা এটাও দাবি জানায় যে, বর্তমানে সরস্বতী নদী হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।