Tiger Reserve: উত্তর প্রদেশের রানিপুর এখন দেশের ৫৩তম টাইগার রিজার্ভ
Uttar Pradesh: যেখানে দেশ জুড়ে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার, সেখানে এই টাইগার রিজার্ভ বাঘ সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের পর্যটনকে নতুন পালক জুড়ল। উত্তর প্রদেশের রানিপুরকে ভারতের ৫৩তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হল। এবার উত্তর প্রদেশের রানিপুর গেলে ঘুরে দেখতে পারেন রানিপুর টাইগার রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব টুইটারে রানিপুর টাইগার রিজার্ভের কথা ঘোষণা করেছেন।
রানিপুর টাইগার রিজার্ভ উত্তর প্রদেশের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের প্রথম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। ৫২৯.৩৬ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই টাইগার রিজার্ভ। যার মধ্যে কোর এলাকা ২৩০.৩২ বর্গ কিমি এবং বাফার এলাকা ২৯৯.০৫ বর্গ কিমি। ভারতে বাঘ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই টাইগার রিজার্ভ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। যেখানে দেশ জুড়ে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার, সেখানে এই টাইগার রিজার্ভ হয়তো বাঘ সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৮-এর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে বাঘের সংখ্যা ২,৯৬৭। এর মধ্যে ১৭৩টি বাঘ রয়েছে শুধু উত্তর প্রদেশে।
রানিপুর টাইগার রিজার্ভ উত্তর প্রদেশের চতুর্থ ব্যাঘ্র প্রকল্প। অন্য দিকে, এটি ভারতে ৫৩তম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। রানিপুর ছাড়াও উত্তর প্রদেশে দুধওয়া, পিলিভীত এবং আমনগড় নামে আরও তিনটি ব্যাঘ্র প্রকল্প রয়েছে। আমনগড় টাইগার রিজার্ভ উত্তর প্রদেশের বিজনর জেলায় অবস্থিত। এটি জনপ্রিয় জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের একটি বাফার জোন। এছাড়া দুধওয়া টাইগার রিজার্ভ উত্তর প্রদেশের লখিমপুর এবং পিলিভীত টাইগার রিজার্ভ পিলিভীতে অবস্থিত। তবে উত্তর প্রদেশের বুন্দেলখণ্ডে রানিপুর টাইগার রিজার্ভ হল প্রথম ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র।
বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ১৯৭২-এর অধীনে রানিপুরকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী দিনে এই টাইগার রিজার্ভ দেশের বাঘ সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। রানিপুর টাইগার রিজার্ভ দেশের উত্তরে অবস্থিত এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় শুষ্ক পর্ণমোচী বন দিয়ে ঘেরা। এই অভয়ারণ্য বাঘ, চিতাবাঘ, ভালুক, হরিণ, সাম্বার, চিঙ্কার মতো স্তন্যপায়ী প্রাণীর আবাসস্থল।
রানিপুর টাইগার রিজার্ভ শুধু ব্যাঘ্র সংরক্ষণে অবদান রাখবে তা নয়। এই অভয়ারণ্য পর্যটন শিল্পেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্যপ্রাণী বা জঙ্গল সাফারির টানে পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে। ঠিক যেমনটা ঘটে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে। বাঘ ও অন্যান্য বন্যজন্তু দেখার ইচ্ছায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে। এই একই ঘটনা এবার ঘটতে পারে রানিপুর টাইগার রিজার্ভে।