AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World’s Largest Religious Monument: বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে এই বাংলাতেই! কবে খুলবে, কী কী দেখা যাবে, জানুন

West Bengal: কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরের মহিমা একসময় ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র পৃথিবীতে। ওই মন্দির ছিল বৃহত্তম ধর্মীয় মন্দির। তবে আধুনিক যুগে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হচ্ছে এক বিশালাকায় বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম!

World’s Largest Religious Monument: বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে এই বাংলাতেই! কবে খুলবে, কী কী দেখা যাবে, জানুন
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 9:43 PM
Share

ভারত মন্দিরের দেশ। প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি বৃহৎ আকারের মন্দির রয়েছে এদেশে। পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির, ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির, তিরুমালার ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির, বিষ্ণুপদ মন্দিরের নাম সকলেই জানেন। মন্দিরগুলির গঠনশৈলী, ভাস্কর্য ও উচ্চতা তাক লাগিয়ে দেয়। তবে ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে, ভারতের মন্দিরগুলির (Temples in India) পাশাপাশি কম্বোডিয়ার ৪০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত আঙ্কোরভাট মন্দিরের মাহাত্ম্যও কম ছিল না। তবে সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এমন একটি মন্দির তৈরি হতে চলেছে যা সম্ভবত প্রাচীন এবং বর্তমান সময়ের সমস্ত মন্দিরের মধ্যে সর্ববৃহৎ হতে চলেছে। খুব দ্রুতই পৃথিবীর সর্বোচ্চ মন্দির (World’s Largest Religious Monument)হিসেবে ভক্তদের জন্য দ্বার খুলে দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুরের বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম। সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সৌধ হিসেবে এই মন্দিরের গুরুত্ব হয়ে চলেছে অপরিসীম। জানা যাচ্ছে সাদা মার্বেল পাথর দ্বারা প্রস্তুত গম্বুজাকৃতি তাজমহল ও ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রালের চাইতেও অনেক বড় কাঠামো হতে চলেছে এই মন্দির।

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব কৃষ্ণা কনশাসনেস (ISCON)-এর প্রধান কার্যালয় হতে চলেছে বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম। এই সুবিশাল মন্দির কাঠামোর আকর্ষণ হতে চলেছে বসুবিশাল গম্বুজ যা পৃথিবীবাসী আগে কখনও চাক্ষুষ করেনি! এছাড়া মন্দিরের রূপ এতখানিও অপরূপ হবে যে ভক্তেরা দর্শনমাত্র মোহিত হয়ে যাবেন! আশা করা হচ্ছে, দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা এই মন্দিরের টানে ছুটে আসবেন ভারতে!

২০২২ সালেই এই মন্দির ভক্তদের জন্য দ্বার খুলে দিতে পারবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে কোভিড ১৯ পর্বের কারণে সময়টি ২০২৪ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর বৃহদাকার মন্দিরটি তৈরি হয়েছে কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাটের ৪০০ একর জমির উপর। তবে একবার বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামমের নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে তা আঙ্কোরভাটকেও পিছনে ফেলে দেবে।

কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দির

কী থাকবে বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামে?

• ২০১০ সালে এই মন্দির নির্ণাণ শুরু হয়। জানা যাচ্চে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে মন্দির সম্পূর্ণ করতে।

• সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে মন্দিরে থাকবে ভাগবত গীতার বর্ণনা অনুসারে আমাদের গ্রহমণ্ডলের ঘূর্ণায়মান বৃহদাকার মডেল।

• মন্দিরের প্রতিটি তলে একসঙ্গে ১০হাজার ভক্তের স্থানসঙ্কুলান করা সম্ভব হবে।

• উচ্চতর বিদ্যার্জন ও গবেষণার জন্য মন্দিরে থাকবে প্রতিষ্ঠান। এছাড়া থাকবে আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান যা ভারতের আধুনিক বিজ্ঞান ও ভারতের সনাতন জ্ঞানের মধ্যে আলাপ আলোচনার সঙ্গে জ্ঞানের বিনিময়ের ভার নেবে।

ইসকনের তরফে সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয়েছে, নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে, সকলে বৈদিক সৃষ্টিতত্ত্ব এবং হিন্দু পুরাণ সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন সকলে।

বিখ্যাত ধনী ব্যবসায়ী হেনরি ফোর্ডের নাতি এবং ইসকনের অন্যতম ভক্ত আলফ্রেড ফোর্ড নিজের কাঁধে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ভার তুলে নিয়েছেন। তাঁর বর্তমান নাম অম্বরীশ দাস।

অপূর্ব সনাতন নকশা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধন দেখার জন্য ভক্তেরা এখন ব্যাকুল হৃদয়ে অপেক্ষা করছেন মন্দিরের নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার।