অতিরিক্ত ঠান্ডায় জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়। এই অবস্থায় আবার যদি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে সমস্যা বাড়ে। ইউরিক এসিড এমন একটি বর্জ্য যার শরীরে কোনও কাজ নেই। ফলে এই উপাদানটি শরীরে জমলে তার প্রভাব পড়ে গাঁটে গাঁটে।
ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে হাঁটতে অসুবিধা হয়, জয়েন্টে ব্যথা, পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথরও জমে।
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিডের বেশিরভাগই রক্ত এবং কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবে নির্গত হয়। কিন্তু যখন এর পরিমাণ বাড়তে থাকে, তখন তা শরীরেই স্ফটিক আকারে জমা হতে থাকে।
উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলা হয়। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অ্যালকোহল ও মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন। অন্যদিকে, সামুদ্রিক মাছের মধ্যেও পিউরিন পাওয়া যায়।
অনেক সময় সবজি খেলেও আপনি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্রকোলি, পালং শাক, শিমের মতো শাকসবজিতে পিউরিন থাকে এবং এতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়।
শাকসবজির মতো, কিছু তাজা ফল ও শুকনো ফলেও পিউরিন থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কলা, কিশমিশ, এপ্রিকট ইত্যাদি। এগুলো এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে আপনি আমন্ড, কাজু, আখরোট ইত্যাদি খেতে পারেন।